রাজমিস্ত্রি থেকে বেতাজ বাদশা, অনুব্রত গড়ে কে এই আনারুল হোসেন

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : রামপুরহাট কাণ্ডের পর প্রথম থেকেই যার নাম উঠছিল তিনি হলেন আনারুল হোসেন। কারণ তিনি হলেন রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বগটুই পৌঁছে এই আনারুলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ আসতেই কে এই আনারুল এই নিয়েই শুরু হয় কৌতূহল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার হন আনারুল হোসেন। আনারুল হোসেন বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার সন্ধিপুরের বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি তিনি একসময় এলাকায় রাজমিস্ত্রি হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। রাজমিস্ত্রির কাজই তাকে করতে দেখা যেত। তবে এর পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম দিকে তিনি যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে।

এরপর তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হলে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান মমতা ব্যানার্জির দলে। এরপরই বীরভূমের মাটিতে দক্ষ সংগঠক হিসেবে যাদের নাম উঠে আসে তার মধ্যে আনারুল হোসেন অন্যতম। একসময় তিনি রাজমিস্ত্রি হিসাবে এলাকায় পরিচিত থাকলেও দক্ষ সংগঠকের ভূমিকায় এসে তিনি তৃণমূলে আলাদা জায়গা করে নেন। বর্তমানে রামপুরহাটের রামরামপুরে রয়েছে তার প্রাসাদপ্রমাণ বাড়ি। তবে এই বাড়ি হয়েছে তৃণমূলের আমলেই।

সূত্র মারফত জানা যায়, তিনি রামপুরহাটের বর্তমান বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এর পাশাপাশি তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠন তৈরি করার পরিপ্রেক্ষিতে। এর পরেই তিনি ব্লক সভাপতি হয়ে ওঠেন। তার পরেই তার শ্রীবৃদ্ধি হতে শুরু করে। গাড়ি, বাড়ি, অর্থ আসে তার হাতের মুঠোয়।

তবে রাজমিস্ত্রি থেকে বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠা এই আনারুল রাতারাতি হয়ে গেলেন ফকির। বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ এবং বাকি আটজনের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় তার নাম উঠতেই তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তার মোবাইল সূত্র ধরে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করে।