নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলে থেকে হঠাৎ দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা ধরেই নিয়েছিলেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে প্রথম দফায় তেমনটা হয়নি। এরপর দীর্ঘ মাস দুয়েক অপেক্ষার পর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া শিবির এই নাম লেখান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানোর পর জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পাণ্ডবেশ্বরের প্রার্থী করে দল।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাণ্ডবেশ্বরের প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর রীতি মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জমা দেন হলফনামা। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া সেই হলফনামা থেকেই জানা যাচ্ছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কত টাকার মালিক এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন তার হাতে নগদ রয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৮০ টাকা। আর তার স্ত্রীর হাতে থাকা নগদের পরিমাণ ছিল ১১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৮০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তিনি তার রোজগার জানিয়েছেন ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৯২০ টাকা এবং তার স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির রোজগার জানিয়েছেন ২ লক্ষ ৯২ হাজার ২৫০ টাকা।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামে ব্যাঙ্কে দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটিতে রয়েছে ২৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৪৫ টাকা এবং অন্যটিতে রয়েছে ২৯ হাজার ১৬৬ টাকা। তার স্ত্রীর নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে থাকা টাকার পরিমাণ হল ২ লক্ষ ১ হাজার ৮৭৩ টাকা। জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামে দুটি গাড়ি রয়েছে, যার মধ্যে একটি মোটর বাইক এবং অন্যটি চারচাকা। এই দুটি গাড়ির মূল্য হিসেবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি যথাক্রমে ১৫ হাজার এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। তার নামে রয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২০ টাকার গয়না এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২২০ টাকার গয়না। এই খাতে দুজনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল যথাক্রমে ৩১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১১ টাকা এবং ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৬৮৩ টাকা।
[aaroporuntag]
জিতেন্দ্র তিওয়ারি হলফনামায় জানিয়েছেন তার নামে কোন রকম জমিজমা অথবা বাড়িঘর নেই। তার স্ত্রীর নামে যে সকল জমিজমা অথবা বাড়ি ঘর রয়েছে তার মোট বর্তমান বাজার মূল্য হল ৩৮ লক্ষ টাকা। পেশাগত দিক থেকে তারা দুজনেই আইনজীবী বলে হলফনামায় পেশ করেছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন তিনি ১৯৯৯ সালে বিহারের মোজাফফরপুরের বি আর আম্বেদকর ইউনিভার্সিটির এসকেজে ল কলেজ থেকে এলএলবি করেন।