নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত এবং ভারতীয়দের পাশাপাশি এখন বিশ্বের কাছে চর্চার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরোর (ISRO) এমন সাফল্য নিয়ে আলোচনা করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার সমালোচনার শেষ নেই। কেননা গত দুদিন আগেই চিন ভারতের এমন সফলতা নিয়ে নানান প্রশ্ন ছুঁড়েছে। তবে এসবের মধ্যেও এখন সবচেয়ে আলোচনায় ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)।
কেননা বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের গত সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখ থেকে স্লিপ মোডে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় তাদের জাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। চাঁদের মাটিতে অন্ধকার এবং সূর্যের আলো পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রক্রিয়া চালানো হয় ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে। তবে দুর্ভাগ্যবশত এখনো পর্যন্ত তাদের জাগিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের পুনরায় জেগে না ওঠা বহু ভারতীয়দের কাছে দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা তারা খুব আশা করেই ছিলেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়লে ফের জেগে উঠবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। তবে তারা জেগে না উঠলেও ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে কিছু এসে যায় না। কেননা বিজ্ঞানীদের নতুন হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে জেগে থাকা আরেকজন। বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে থাকলেও সে কিন্তু জেগে থেকে নতুন নতুন তথ্য পাঠাচ্ছে ইসরোকে।
বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে আর এই অবস্থায় কে এমন সিগন্যাল পাঠাচ্ছে? সে অন্য কেউ নয়, বরং চন্দ্রযান-৩ এরই প্রোপালশন মডিউল। এই প্রোপালশন মডিউল লাগাতার নিজের কাজ করে চলেছে। এতে একটি বৈজ্ঞানিক পোলাড রয়েছে এবং সেটি ৫২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এই যন্ত্র ইতিমধ্যেই নিষ্ঠার সঙ্গে তার কাজ করে চলেছে এবং সে নতুন নতুন তথ্য পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।
স্পেকট্রো পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (SHAPE) যন্ত্রটি মূলত চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীকে নিরীক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই পোলাড ছয় মাসের জন্য কাজ করবে বলেই পাঠানো হয়েছিল। তবে ল্যান্ডার মডিউল থেকে প্রোপালশন মডিউল পৃথক হওয়ার সময় যে পরিমাণ জ্বালানি বেছে গিয়েছে তাতে এর আয়ু অনেক বেড়ে গিয়েছে।