Provident Fund is offering life insurance benefits of Rs 7 lakhs: এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পেতে পারেন সমস্ত বেসরকারি কর্মীরা। ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেসনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানিজেশনের তরফ থেকে প্রত্যেকটি সদস্যকে ৭ লাখ টাকা অব্দি জিমান বীমার কভারেজ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পটির নাম এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংকড ইন্সুরেন্স (Provident Fund Life Insurance)।
এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংক ইন্সুরেন্স (Provident Fund Life Insurance) এর সুবিধা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না সদস্যদের। মৃত সদস্যের পরিবারের পাশে থাকার জন্য প্রকল্পটি চালু করে এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। ১৯৭৬ সাল থেকে এই বীমার প্রচলন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেসনের কোন সদস্য যদি হঠাৎ করে মারা যা, তাহলে তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংক ইন্স্যুরেন্স এর মাধ্যমে।
নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করে। প্রত্যেকটি সদস্য যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে তার কোম্পানি সমপরিমাণ অর্থ তার অ্যাকাউন্টে জমা করবে। অবসরের পর জমানো টাকা থেকেই প্রতিমাসে পেনশন পেতে পারেন বেসরকারি কর্মীরাও। এই জমানো টাকার একটা অংশ রেখে দেওয়া হয় এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংক ইন্সুরেন্সে (Provident Fund Life Insurance)। যদি কোন সদস্য হঠাৎ করে মারা যায়, তাহলে তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যকে আর্থিক সহায়তা করা হয় ওই টাকা থেকেই।
আরও পড়ুন ? মাথায় হাত গ্রাহকদের! এবার দুম করে এত শতাংশ বাড়তে পারে হেলথ ইনস্যুরেন্সে প্রিমিয়াম খরচ
কোন ব্যক্তি যতদিন চাকরি করবেন ততদিনই এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংক ইন্সুরেন্সের আওতায় থাকতে পারবেন। অর্থাৎ, চাকরি থাকাকালীন যদি কোন সদস্যের মৃত্যু হয়, তবেই সে এই জীবন বীমার সুবিধা পাবে। অবসরের পর কোন সমস্যায় পড়লে জীবন বীমার সুবিধা দাবী করতে পারবেন না তাঁর পরিবারের লোকজন। তবে কোন সদস্য যদি টানা এক বছর কাজ করার পর মারা যান তাহলে, সেই সদস্যের নমিনি আড়াই লক্ষ টাকা অব্দি হাতে পেতে পারেন। কোন সদস্যের বার্ষিক মূল বেতন ও ডিএর উপর নির্ভর করে জীবন বীমার কভারেজ নির্ধারণ করা হয়। জীবন বীমার পরিমাণ হবে সেই সদস্যের বার্ষিক আয়ের ৩৫ গুন। এছাড়াও বোনাস বাবদ হাতে পাওয়া যেতে পারে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
কর্মরত অবস্থায় কোন সদস্যের মৃত্যু হলে, তবেই তাঁর পরিবার এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংক ইন্সুরেন্সের (Provident Fund Life Insurance) জন্য আবেদন করতে পারবে। যদি কোন সদস্য তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কোন নমিনি নির্ধারণ করে না থাকেন, তাহলে সেই সদস্যের স্ত্রী, অবিবাহিত মেয়ে, নাবালক পুত্র জীবন বীমার জন্য আবেদন করতে পারে। প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে নমিনি করা থাকলে সেই নমিনির ১৮ বছর বয়স হলেই কোন সমস্যা ছাড়াই নিজেই সে বিমার টাকার জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু নমিনি নির্ধারণ করা না থাকলে, বিমার টাকা পাবার জন্য একাধিক নথি পত্র জমা করতে হবে।