শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু হতে পারে, নীতিন গড়কড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হয় ভারতে লকডাউন। তারপর থেকেই অন্যান্য ব্যবস্থার মতো বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন ব্যবস্থা। লকডাউন প্রথম ও দ্বিতীয় দফা পার করে পা রেখেছে তৃতীয় দফায়। তৃতীয় দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেও গণপরিবহন এখনো চালু হয়নি। তবে এবার এই গণপরিবহন ব্যবস্থা শর্তসাপেক্ষে চালু হতে পারে বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।

বাস অ্যান্ড কার অপারেটর্স কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার একটি বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রীর। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রীর কাছে বাস ও অন্যান্য গাড়ি সংগঠনের মালিকরা পরিবহন ব্যবস্থাকে চালু করার দাবি জানান। পরিবহন মন্ত্রীর কাছে তারা অভিযোগ করেন, এই পেশায় যুক্ত শ্রমিকরা পেশা থেকে বিচ্যুত হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। রোজগার বন্ধ, এমনকি অন্যান্য কোন ভাতার সুযোগও পাচ্ছেন না তারা।

এই সকল দাবি-দাওয়া অভিযোগের কথা শুনে পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি জানান, “আমি প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।” আর এরপরেই তিনি জানান, “খুব শীঘ্রই শর্ত সাপেক্ষে পরিবহন ব্যবস্থা চালু হতে পারে।”

শর্ত বলতে পরিবহন মন্ত্রী জানান, পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলেও গাড়ির মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গাড়ির মধ্যে রাখতে হবে হ্যান্ডওয়াস, স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত, মাস্ক, জীবাণুনাশক ইত্যাদি সমস্ত কিছু। পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলেও প্রতিদিন বাস অথবা অন্যান্য গাড়িকে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এমনটাও জানান পরিবহন মন্ত্রী। তবে কবে থেকে এই পরিবহন ব্যবস্থা চালু হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি পরিবহন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই গ্রীন জোন ভুক্ত এলাকায় পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। যেমন চারচাকা গাড়িতে চালক বাদে সব থেকে বেশি দুজন, মোটরবাইকে একজন চেপে যাতায়াত করতে পারবেন। আর বাস চলাচল করলেও সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী বাসে চাপানো যেতে পারে।