নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনকার যুগে গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে নানান ধরনের যানবাহন (Vehicle)। কারো বাড়িতে রয়েছে বাণিজ্যিক নানান ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি ঘরোয়া ভাবে ব্যবহৃত চারচাকা, তো আবার কারো বাড়িতে রয়েছে তিন চাকা দু’চাকার যানবাহন। এই সকল প্রত্যেক যানবাহনের জন্য যা যা প্রয়োজন তার মধ্যে একটি হল ধোঁয়া পরীক্ষা (PUC)।
যে সকল যানবাহনে ধোঁয়া পরীক্ষার কাগজ থাকে না সেই সকল যানবাহনের উপর বিপুল পরিমাণে জরিমানা চাপানো হয়ে থাকে। নতুন কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী যে সকল যানবাহনের পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সার্টিফিকেট থাকে না তাদের উপর ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সুতরাং ধোঁয়া পরীক্ষা বা PUC কাগজ থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ধোঁয়া পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যের গাড়ির মালিকদের এতদিন পর্যন্ত যা খরচ করতে হতো এবার তার থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হবে। রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ বাড়ানোর (PUC Test Cost Hiked) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেই এই ধরনের পরীক্ষার খরচ বাড়ানোর জন্য রাজ্য অর্থ দপ্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন ? PUC Certificate for EV: EV গাড়িতেও কী PUC সার্টিফিকেট দরকার! না ভাবলে ভুল ভাবছেন
রাজ্য অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়ার ফলে ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ রাজ্যে বাড়তে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এখনই এখনই এই নতুন রেট কার্যকর না হলেও তা খুব তাড়াতাড়ি কার্যকর হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর। ধোঁয়া পরীক্ষা যেহেতু প্রত্যেক যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর (৬ মাস) করাতে হয় তাই এবার ধারাবাহিকভাবে গাড়ির মালিকদের খরচ বেড়ে যাবে, যা ইতিমধ্যেই তাদের চিন্তায় ফেলেছে।
ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ নিয়ে যা জানা গিয়েছে তা হল, চারচাকা যানবাহনের ক্ষেত্রে আগে যেখানে ১০০ টাকা খরচ আগামী দিনে খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা। তিন চাকা যানবাহনের ক্ষেত্রে আগামী দিনে ১০০ টাকার পরিবর্তে খরচ করতে হবে ১২০ টাকা এবং দুই চাকার যানবাহনের ক্ষেত্রে আগে যেখানে ৮০ টাকা খরচ করতে হতো, খরচ বৃদ্ধির পর করতে হবে ৯০ টাকা। অন্যদিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে হবে দ্বিগুণ। ধোঁয়া পরীক্ষা থেকে যে টাকা আদায় হবে তার ৫০ শতাংশ রাজস্ব আকারে যাবে রাজ্য সরকারের ঘরে। বাকি টাকা থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী কোন টাকায় আসতো না রাজ্য সরকারের কাছে।