২০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার শিকার এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় একাধিকবার আর্থিক প্রতারণার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এই সকল অধিকাংশ আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গিয়েছে সাধারণ গ্রাহকদের। এবার এমনই একটি আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটে গেল দেশের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে।

নীরব মোদির ১৪০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার জখম এখনো শেষ হয়নি। তবে সেই যখন শেষ হতে না হতেই এবার ২০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন হল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB)। এই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, একটি সংস্থা তাদের থেকে ২০০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়। সেই ঋণ পরিশোধ না করার কারণেই তারা এমন আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছে।

এমন ঘটনাটি ঘটেছে নতুন দিল্লিতে। সেখানকার সবচেয়ে বড় কর্পোরেট দপ্তরে এমন ঘটনা ঘটেছে। যে সংস্থাটি এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে এই ব্যাঙ্ককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে সেই সংস্থাটি হলো আইএল অ্যান্ড এফএস তামিলনাড়ু পাওয়ার। এই সংস্থাটি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকার সঠিক সুদ এবং পরিশোধ না করার কারণে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক আজ ২ হাজার ৬০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের হিরে ব্যবসায়ী নিরব মোদীকে এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ দেয়। কিন্তু পরে জানা যায় ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো গ্যারান্টার রেখে এই ঋণ নিয়েছেন। দেখতে দেখতে সেই ঋণের পরিমাণ পৌঁছে যায় ১৪ হাজার কোটি টাকায়। সেক্ষেত্রেও প্রতারণার শিকার হয়েছিল এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি।

এবার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক যে সংস্থাকে ঋণ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন সেই সংস্থাটি তামিলনাড়ুর কাড্ডালোরের। এই সংস্থাটি মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ করে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো এমন প্রতারণা ঘটনা সামনে আসার আগেই ১৫ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এই সংস্থাকে ‘বেড অ্যাসেট’ বলে ঘোষণা করেছিল।