মনে পড়ে সেই পুতুল নাচ, ফের লুপ্তপ্রায় আসরের দেখা মিললো বীরভূমে

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুতুল নাচ, একসময় যা দেখার জন্য লোকেদের মধ্যে উৎসাহ থাকতো চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন? এখন সেই পুতুল নাচই লুপ্তপ্রায়। আর দেখা যায় না পুতুল নাচের আসর। তবে এই লুপ্তপ্রায় মুহূর্তেই এদিন দেখা মিললো পুতুল নাচের আসরের। তাও আবার বীরভূমে।

বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের অন্তর্গত ভূতুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গাছা পীরতলায় বসেছে উরস মেলা। আর সেই মেলাতেই চোখে পড়ল লুপ্তপ্রায় পুতুল নাচের আসর। তবে এই পুতুল নাচ লুপ্তপ্রায় হলেও কে বলল এর কদর নেই। অন্ততপক্ষে পুতুল নাচ দেখতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখেই এর কদর বোঝা গেল। দীর্ঘ দিন পর পুতুল নাচ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত এলাকার ছোট থেকে বড়রা।

আগেকার দিনে তাবু খাটিয়ে মেলায় মেলায় চলতো পুতুল নাচের আসর। আর এই পুতুল নাচের আসরে প্রতিদিন আলাদা আলাদা পালার দেখা মিলতো। কোনদিন বেহুলা লখিন্দরের পালা, কোনদিন আবার সাবিত্রী সত্যবানের পালা, দেখা মিলতো অচল পয়সা, সাত ভাই চম্পা, লালন ফকিরের মতো নানান পালা। আর এই সকল পুতুল নাচের পালার মধ্যে তুলে ধরা হতো নানান শিক্ষামূলক দিকগুলি। এক সময় এই পুতুল নাচ দেখার জন্য খরচ পড়তো মাত্র এক আনা। আর সেই এক আনা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে থাকতে হতো পালা শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। তবে ধীরে ধীরে পুতুল নাচের পালা দেখার জন্য খরচ বাড়তে থাকে। এক আনার টিকিট ধীরে ধীরে টাকাতে পৌঁছায়। কিন্তু এখানেই শেষ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আজ থেকে ২৭-২৮ বছর আগে একবার শেষ পুতুল নাচের আসর দেখেছিলাম বীরভূমের কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে। যেখানেও মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা টাকার বিনিময়ে এই পুতুল নাচ দেখেছিলাম। কিন্তু তারপর…..। তবে এদিন আবার সেই পুরাতন দিনকে ফিরে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।”