নিজস্ব প্রতিবেদন : মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষি ভাইদের ফসল ফলাতে দেখা যায়। তাদের ফলানো এই ফসল খেয়েই আমরা জীবনযাপন করি। তবে তাদের ফলানো ফসল বিশেষ করে ধান বিক্রি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়ম অনুযায়ী তাদের থেকে ধান কেনা হয় না এমন অভিযোগ তুলতে দেখা যায় তাদের। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নয়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
বাংলার শস্য ভান্ডার বলা হয়ে থাকে পূর্ব বর্ধমানকে। এই পূর্ব বর্ধমানেই এবার এমন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো। পূর্ব বর্ধমান প্রশাসনের তরফ থেকে অনলাইন পোর্টাল চালু করা হচ্ছে চাষী ভাইদের ধান বিক্রি করার জন্য। এই পোর্টাল চালু বাংলার মধ্যে প্রথম বলেই জানা যাচ্ছে এবং এর ফলে চাষীদের অনেক উপকার হবে।
চলতি বছর যাতে সহায়ক মূল্যে পূর্ব বর্ধমানের চাষীরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারেন তার জন্য এই পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। এখানে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার জন্য ইচ্ছুক চাষীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং সেই রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী চাষীদের কাছে নির্ধারিত তারিখ এবং নির্ধারিত কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে যাবে। এর পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্রাম্যমান সিপিসি চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি চাষীদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা এবং চাষীদের সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগানোর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করাও চাষীদের কাছে বাড়তি একটি সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বছর যেখানে সহায়ক মূল্য হিসাবে দেওয়া হতো কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা, সেই জায়গায় এই বছর যাওয়া হবে ২০৪০ টাকা। এছাড়াও বাড়তি আরও ২০ টাকা দেওয়া হবে উৎসাহ ভাতা হিসাবে। খরিফ শস্য ফলনের পর সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হবে আগামী নভেম্বর মাসে।