Manas National Park: সিকিম ঘুরতে যাওয়া অতীত! পুজোয় এবার নতুন ডেস্টিনেশন হোক এই জায়গা

Pygmy hog released in Assam’s Manas National Park: দুর্গা পুজোর আগেই অসমের মানস জাতীয় উদ্যানে (Manas National Park) নতুন চমক। সেখানে ছাড়া হল ১৮টি বিরল প্রজাতির শূকর, যাদের বলা হয় পিগমি হগ। এই প্রজাতির শূকর বিশ্বের সবচেয়ে ছোট শূকর। এই উদ্যোগের ফলে এই বিরল প্রজাতির শূকরদের বাঁচানোর নতুন আশা দেখা দিয়েছে। বছর কয়েক আগে ১৯৯৬ সালে এখানে শুরু হয় Pygmy Hog সংরক্ষণ কর্মসূচি।

এই বিষয় নিয়ে অবশ্য বন বিভাগের আধিকারিকরা জানান যে, মোট চারবার মানস জাতীয় অরণ্য এবং টাইগার রিজার্ভ এলাকায় ছাড়া হল এই প্রজাতির শূকর। এই কর্মসূচিতে, এই সংরক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্বের সব থেকে ছোট আকারে শূকর ছাড়া হয়েছিল ২০২০ সালে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে। এদিন সেখানে ছাড়া হয় আরও ১৮টি পিগমি হগ। এখন এই জাতীয় উদ্যানে (Manas National Park) মোট পিগমি হগের সংখ্যা ৫৪ টি এবং বর্তমানে তার ৬০ করার আশা করা হচ্ছে।

রাজেন চৌধুরী যিনি কিনা মানস জাতীয় উদ্যানের ফিল্ড ডিরেক্টর এই ব্যাপারে বলেছেন যে, পিগমি শূকরের আসল বাসস্থান কোনো এক সময়ে এটি ছিল। এদের মুক্তি মানসের পুনর্নির্মাণকে বাড়িয়ে তুলবে। এই উদ্যানে (Manas National Park) তৃণভূমির বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জন্য আরো বেশি কাজ করা হচ্ছে। পুনঃপ্রবর্তিত পিগমি হগের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার সাথে সাথে উপযুক্ত ব্যবস্থা তৃণভূমি-সম্পর্কিত প্রজাতি যেমন বেঙ্গল ফ্লোরিকান, হিসপিড হেয়ার, হগ ডিয়ার এবং গণ্ডারকেও সাহায্য করবে।

এই উদ্যোগের ফলে যে শুধুমাত্র এই প্রাণীরই উপকৃত হবে তাই নয় পাশাপাশি অন্য বন্যপ্রাণীরাও উপকৃত হবে বলেও জানান আধিকারিকরা। জাতীয় উদ্যানের (Manas National Park) আধিকারিকরা জানান, ৭০-এর দশকে এই প্রজাতির শুকরকে সেখানে দেখা যেত। বিভিন্ন কারণে তা বিলুপ্ত হয়ে যায় সেখান থেকে। সেই কারণেই এইগুলিকে আবার সংরক্ষণ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারা জানান, এই কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন জঙ্গল এবং অভয়ারণ্যে ১৭০টি শূকরকে ছাড়া হয়েছে।

বনবিভাগ অবশ্য এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, ১৯৯৬ সালে মানসের বাঁশবাড়ি এলাকা থেকে দুটি পুরুষ এবং দুটি মহিলা শূকরকে ধরার পরে শুরু করা হয়েছিল Pygmy Hog Conservation Programme (PHCP)। সেখান থেকেই বংশবৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। মানস জাতীয় উদ্যান ছাড়াও শুকরগুলোকে ছাড়া হয় সেখান থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ওরাং জাতীয় উদ্যানে। সেই অঞ্চলে প্রায় ১৩০টি এই ক্ষুদ্র আকারের শূকর আছে। এগুলো খুবই লাজুক। সেখানের জঙ্গলের ঘন ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে।