লাল্টু : বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে রাজ্যে, বাকি নেই বীরভূমও। আর সেই ছবি ধরা পড়লেও বৃহস্পতিবার বীরভূমের দুবরাজপুর। তৃণমূল এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান, তারপর আবার মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই মোহভঙ্গ করে ঘরওয়াপসি।
বৃহস্পতিবার সকালে দুবরাজপুরের বিজেপির দলীয় অফিসে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবি ও তার স্বামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল ছাড়ার পর রফিকা বিবি জানান, উন্নয়নমূলক কাজ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছি।
কিন্তু তারপরেই ঘটল অঘটন। বিজেপিতে যোগদান করার মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোলবদল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবির। রাতে তিনি পুনরায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আর ঘরের মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে নিলেন দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র। সঙ্গে ছিলেন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, তৃণমূলের দুবরাজপুর ব্লকের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মন্ডল ও রফিউল খান।
রফিকা বিবি পুনরায় তৃণমূলে যোগদানের পর জানান, “বিজেপি প্ররোচনা দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এটা আমার ভুল হয়েছে। হুমকি দিয়ে নিয়ে গেছে। আমি তৃণমূলে আছি আর তৃণমূলে থাকবো। তৃণমূলীরা আমাকে কেউ ভয় দেখায়নি, আমি নিজে থেকেই ফিরে এলাম।”
বিজেপি থেকে পুনরায় তৃণমূলে রফিকা বিবি ও তাঁর স্বামীকে দলে ফেরানোর ভোলানাথ মিত্র জানান, “ভুল করে বিজেপিতে গেছিল। ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় রফিকা ও তাঁর স্বামী দলে ফিরে এলেন।” পাশাপাশি ভোলানাথ মিত্র এটাও দাবি করেন যে, “হয়তো ৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেছে। কিন্তু সেই ঘটনাকে ফলাও করে বিজেপি বলছে ৩৫০ জন। আসলে বিজেপির কাজই হলো ভুয়ো খবর ছড়ানো।”
এদিন রাতে দুবরাজপুরের তৃণমূলের ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবি হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। যদিও ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে আসার পরিপেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।