সৌভিক রায় : মাত্র ৩০ টাকা টিকিটে কোটি টাকা পুরস্কার জিতে সম্প্রতি রাতারাতি কোটিপতি হতে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষকে। এই সকল মানুষের দলে এবার নাম লেখালেন বীরভূমের এক ভাংরি ফেরিওয়ালা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ওই ফেরিওয়ালা ভাঙাচোরা জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন এবং তা বিক্রি করে যা রোজগার হয় তা থেকে সংসার চালান। তবে এই কোটি টাকা পুরস্কার জেতার পর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।
রাতারাতি এইভাবে লটারিতে কোটি টাকার পুরস্কার জিতে কোটিপতি হয়েছেন যিনি তিনি হলেন রামপুরহাটের কাস্টগড়া এলাকার রহমত শেখ। বুধবার তিনি একটি ৫ সেমের ৩০ টাকা দামের লটারির টিকিট কিনেছিলেন। সেই টিকিটের ফল বের হতেই তার কাছে ফোন আসে দোকান থেকে। টিকিটের নম্বর যাচাই করার পর জানানো হয় কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন রহমত।
রহমত শেখ একজন ফেরিওয়ালা হওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত নিজের বাড়িটুকু তৈরি করতে পারেননি। বাড়িতে তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে একজনের বিয়ে দিয়েছেন। বাকিরা পড়াশোনা করছে। এমন আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া রহমত এই কোটি টাকা জেতার পর স্বপ্ন দেখছেন নিজস্ব বাড়ি তৈরি করার এবং মেয়েদের ভালোভাবে বিয়ে দেওয়ার।
তবে রহমত এই প্রথম টিকিট কেটে এমন পুরস্কার জিতেছেন এমনটা নয়। তিনি গত ১৯ বছর ধরে লাগাতার টিকিট কিনছেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী তাঁজিনা বিবি। লটারির টিকিট কাটা নিয়ে আগে বাড়িতে হামেশাই অশান্তি হতো বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এখন স্বামী কোটি টাকা পুরস্কার জেতায় বেজায় খুশি তাঁজিনা।
বুধবার লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠার পর রহমত এবং তার স্ত্রী তাঁজিনা সোজা ছুটে আসেন রামপুরহাট পুলিশ স্টেশনে। সেখানে তিনি পুলিশি সহযোগিতা চান। পুলিশ তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এই টিকিটের পুরস্কারের মূল্য পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে।