CAA ও NRC প্রত্যাহারের দাবিতে ফের অবরোধ রাস্তা, রেল!

চন্দন কর্মকার : লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই সভাতেই সিএবি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ হয়ে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে তা আইনে পরিণত। যার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার পাশাপাশি বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গেও। গত বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই বিক্ষোভ আজও অব্যাহত রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও।

রবিবার সকাল থেকেই নতুন করে বিক্ষোভের আগুণ ছড়িয়ে পড়ে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই বিক্ষোভ আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মুরারই থানার অন্তর্গত হিয়াতনগর। মুরারই থেকে রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়ক উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

বেলা গড়াতেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত বাতাসপুর এলাকা।বাতাসপুরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশকিছু মানুষ আজ দুপুর বেলায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে মিছিল বের করে। কিন্তু তারা কিছু দূর যাওয়ার পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। মিছিল থেকে জনতারা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগ পৌঁছে যায় বাতাসপুর রেলস্টেশনের রেললাইনে। আর অন্য দলটি থাকে সাঁইথিয়া থেকে বোলপুর রাস্তায়। দুটি দলই আলাদা আলাদা করে রেললাইনে ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে শুরু করে অবরোধ।

বাতাসপুর রেলস্টেশনে অবরোধের ফলে সাঁইথিয়া স্টেশনে আটকে পরে মাতারা ও বামদেব এক্সপ্রেস। এছাড়াও আরও দুটি মালগাড়ি আটকে পরে বলে জানা যায়। অন্যদিকে বোলপুর সাঁইথিয়া রাস্তা অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। বাতাসপুর স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ কথা বলে তাদের সরিয়ে দেয়। একের পর এক রাস্তা অবরোধ এবং রেল অবরোধের ফলে দুর্ভোগের মধ্যে আমজনতা।

প্রসঙ্গত, এইভাবে রাজ্যজুড়ে সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উগ্র আন্দোলনের আকার নেওয়ায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৬ টি জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।