CAA-এর প্রতিবাদে রেল অবরোধ, ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে দূরপাল্লার ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ও রাজ্যসভা এই দুই সভাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ হয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলার। দফায় দফায় দিকে দিকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ মিছিল চালানোর পাশাপাশি শুরু করেছে পথ অবরোধ থেকে রেল অবরোধ। গত তিনদিন ধরে একই ছবি বীরভূমের মুরারই এলাকায়।

শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা মুরারই স্টেশন রেল অবরোধ শুরু করে। যার জেরে আটকে পড়ে দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। বিক্ষোভের জেরে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে আমজনতাকে।

শনিবার সকাল থেকে মুরারই স্টেশন রেল অবরোধের জেড়ে বাঁশলৈই স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে হাওড়াগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং রাজগ্রাম স্টেশন থেকে রামপুরহাটগামী বারহাওড়া লোকাল। শতাব্দী এক্সপ্রেস আনুমানিক দু’ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে রেলযাত্রীদের তরফ থেকে। অন্যদিকে একই অবস্থা বার হাওড়া লোকালের।অন্যান্য সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন গুলি কেউ অন্যান্য স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের।

শতাব্দি এক্সপ্রেসের এক যাত্রী আবদুল ওয়াহিদের দাবি, “আমি শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ফিরছি।আমার মত এই ট্রেনের সকল যাত্রীদের অজস্র কাজ রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ট্রেন আটকে লাভ কি হচ্ছে?”

অন্যদিকে আজ সকালে একই ইস্যুতে প্রতিবাদে শামিল হয় বীরভূমের রাজনগর থানা এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে এলাকার বাসিন্দারা। এখানেও সকাল থেকেই মিছিল বের করা হয়। দীর্ঘক্ষন মিছিল করার পর চৌরাস্তা মোড়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কুশপত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি হলো, “তারা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল মানবেন না।” তাদের অভিযোগ, “ধর্মের ভিত্তিতে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করা হয়েছে। এই বিল পাশ করে তাকে আইনে পরিণত করে ভারতের সংবিধান এবং ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করা হয়েছে।”