নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। প্রতিদিন ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। বছরে মোট যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭০০ কোটি। যে কারণে ভারতীয় রেলকে ভারতের গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়।
ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে প্রতিটি যাত্রীকে সবার আগে যে বিষয়টি মানতে হয় তা হল টিকিট। অর্থাৎ ট্রেনে সফর করার সময় প্রত্যেক যাত্রীকে নিজেদের কাছে সফরের জন্য বৈধ টিকিট রাখতে হয়। এই টিকিটের জন্য রেলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ যাত্রীরাই ভেবে থাকেন যে তারা ট্রেনের টিকিটের পুরো খরচ দিয়েই ট্রেনে সফর করছেন।
যাত্রীরা এমনটা ভেবে থাকলেও তা কিন্তু নয়। কেননা প্রত্যেক যাত্রীর ট্রেনের টিকিটেই মোটা অঙ্কের টাকা ছাড় (Indian Railways Ticket Subsidy) হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) এবং তিনি জানিয়েছেন যাত্রীদের কত টাকা করে ছাড় দেওয়া হয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অধিকাংশ যাত্রীরা এই বিষয়টি জানেন না এবং অধিকাংশ যাত্রীরায় জানেন না, তারা ট্রেনে সফর করার জন্য যে টাকা দিচ্ছেন তার থেকে বেশি টাকা সরকার ভর্তুকি হিসাবে দিচ্ছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি অনুযায়ী, ভারতীয় রেলে সফর করা প্রতিটি যাত্রীকে ভারতীয় রেল ৫৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি কোন দূরত্বের সফরের জন্য ট্রেনের টিকিটের দাম হয় ১০০ টাকা তাহলে ৫৫ টাকা ভারতীয় রেলের তরফ থেকে দেওয়া হয় আর যাত্রীদের দিতে হয় মাত্র ৪৫ টাকা। রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের জন্য এই বিপুল অংকের টাকা ভর্তুকি হিসাবে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সুযোগ-সুবিধার জন্য বিপুল টাকা খরচ করে থাকে।
বছরে রেল পরিষেবার জন্য কত টাকা খরচ হয়? এই বিষয়টিও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, রেলের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রতি বছর ৫৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়ে থাকে। বেতনের জন্য খরচ করা হয়ে থাকে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুতের জন্য খরচ হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং লিজ সুদ বাবদ বছরে খরচ হয়ে থাকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছরের খরচ করা হয়ে থাকে ১২ হাজার কোটি টাকা।