১২ই মে থেকে চালু হচ্ছে ১৫ জোড়া স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন, রইলো খুঁটিনাটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই এক রাজ্যের অধিবাসীরা ও পরিচয় শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন ভিন রাজ্যে। আর দীর্ঘ লকডাউনের কারণে এই সকল মানুষেরা ভিন রাজ্যে আটকে পরে ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই সকল মানুষদের নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২৯ শে এপ্রিল। যার পর আবার চালু হয়েছে রেল পরিষেবা কেবলমাত্র এই সকল মানুষদের ফিরিয়ে আনার জন্য। তবে লক্ষ লক্ষ মানুষদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ট্রেন এতদিন চলছিল তা খুবই নগণ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে এবার সুখবর দিলেন দপ্তর।

রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রবিবার ট্যুইট করে জানান, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজভূমে ফেরাতে প্রতিদিন ৩০০টি করে স্পেশাল ট্রেন চালাতে প্রস্তুত ভারতীয় রেল। আগামী ৬ দিনের জন্য স্বল্প বিজ্ঞপ্তিতে এই ট্রেনগুলি চালাতে প্রস্তুত তারা।”

দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর প্রথম ও দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ করে তৃতীয় দফার লকডাউনও এখন শেষের দিকে। তবে লকডাউনের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা এখনও অজানা।লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর এই সিদ্ধান্ত হবে লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

অন্যদিকে ট্রেন চলাচল নিয়ে আরও একটি সুখবর এসেছে। আগামী ১২ ই মে থেকে ১৫ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেল দপ্তরের। যে ট্রেনগুলি নতুন দিল্লি থেকে দেশের ১৫ টি স্টেশনের মধ্যে চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলি স্পেশাল ট্রেন হিসাবে চলবে নিউ দিল্লি থেকে হাওড়া, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, চেন্নাই, আমেদাবাদ, তিরুবনন্তপুরম, মদগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল এবং জম্মু তাওয়াই শহরের মধ্যে। এই সকল স্পেশাল ট্রেনগুলির টিকিট পাওয়া যাবে আগামী ১১ ই মে বিকাল চারটে থেকে কেবলমাত্র IRTCT-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলি আপাতত আগের মতই বন্ধ থাকবে। আগামীদিনে কোভিড-১৯ বিধি মেনে আরও বেশ কিছু নতুন রুটে পুনরায় চালু হতে ট্রেন পরিষেবা।

আর ট্রেনগুলিতে চড়ার জন্য কেবলমাত্র বৈধ টিকিট থাকা যাত্রীদেরই স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেবে রেল বলেও জানানো হয়েছে। যাত্রীদের জন্য মাস্ক পড়ে থাকা বাধ্যতামূলক, যাত্রীদের স্ক্রীনিং করার পরেই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে। কিছু সকল যাত্রীদের কোন রকম উপসর্গ থাকবে না তারাই কেবল মাত্র চড়তে পারবেন ট্রেনে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৬২৯৩৯ এ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও এই সংখ্যাটা পৌঁছে গেছে ১৯৩৯ এ।