The railway authority has made a huge profit on the new rules on children’s tickets: ট্রেনে চেপে আমরা মোটামুটি সবাই কমবেশি সফর করে থাকে। ভারতীয় রেল ভারতের অর্থনীতির উপর এক বিশাল প্রভাব বিস্তার করে আছে। তবে শুধু ভারতের অর্থনীতিই নয় রেল এক কথায় ভারতীয় গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা চলে। রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকেন নিজেদের লক্ষ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রাপ্তবয়স্কদের রেলে চাপতে হলে কাটতে হয় নির্দিষ্ট টিকিট। তবে বেশ কিছুদিন আগে বাচ্চাদের টিকিট (Ticket Rules for Child) কাটার ক্ষেত্রেও একটা বিশেষ নিয়ম ধার্য করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোথাও যাতায়াতের সময় বাচ্চাদের টিকিট (Ticket Rules for Child) কাটা নিয়ে প্রত্যেক অভিভাবকের মনে সংশয় থাকে। তাই সবারই মোটামুটি রেলের এই বিষয়ক যাবতীয় নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। নয়তো পরে প্রভুত ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এক ব্যক্তির করা আরটিআই এর দরুণ রেলের এমন বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। চলুন সেই বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া যাক।
উক্ত আরটিআই রিপোর্টের তরফে জানা গিয়েছে, রেলের ক্ষেত্রে শিশুদের (Ticket Rules for Child) কিছু ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করে রেল গত সাত বছরে আয় করেছেন ২৮০০ কোটি টাকা। সিআরআইএস অর্থাৎ সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে,পরবর্তী ২ বছরে আরও ৫৬০ কোটি টাকা আয়ের আশা রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ। সিআরআইএস রেল মন্ত্রকের আওতায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন ।
২০১৬ সালেই বাচ্চাদের রিজার্ভেশন টিকিটের নিয়ম (Ticket Rules for Child) পরিবর্তন করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৩১শে মার্চ রেলমন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, রিজার্ভেশন টিকিটের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাড়া দিয়ে আলাদা সিট বুকিং করতে হবে। তবে এই নিয়ম কার্যকরী হয়েছে ২০১৬ সালের ২১শে এপ্রিল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য আলাদা বার্থ না নিলেও অর্ধেক ভাড়া দিতে হবে।
এক রিপোর্টের মাধ্যমে CRIS ২০১৬-২০২৩ সাল পর্যন্ত বাচ্চাদের দুটি ক্ষেত্রেই ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে। পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী, ৩.৬ কোটি বাচ্চা সিট রিজার্ভ না করেই অর্ধেক টাকা দিয়ে ভ্রমন করেছে। আবার, ১০ কোটির বেশি বাচ্চাদের পরিবার পুরো টিকিটের (Ticket Rules for Child) টাকা প্রদান করেই আলাদা সিট বুক করেছেন। RTI এর আবেদন করেছিলেন চন্দ্রশেখর গৌর নামের এক ব্যক্তি। তার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, গত সাত বছরে যত বাচ্চা ট্রেনে চেপেছে তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ বাচ্চাদের পরিবার পুরো টাকা দিয়ে তাদের বাচ্চাদের জন্য সিট বুক করেছেন।