Indian Railways: বাংলার রেলের ৩ প্রকল্প, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলো রেল বোর্ড

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কলকাতা মেট্রোকে আরও সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। আর এসবের মধ্যেই এবার বাংলার ৩টি প্রকল্পের জন্য সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলো রেল বোর্ড (Rail Board)। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বরাদ্দ করা এই বিপুল পরিমাণ টাকার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উপকৃত হবে ঝাড়খন্ড ও ওড়িশা।

Advertisements

ভারতীয় রেল গণপরিবহনের এমন এক মাধ্যম যার ওপর ভর করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে সাধারণ মানুষেরা রেল পরিষেবা এবং রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলছেন। সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী ও সমর্থকরা তো ছেড়ে কথা বলছেনই না।

Advertisements

এসবের মধ্যেই বাংলার জন্য যে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই টাকা সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ করা হয়েছে। রেলের সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বাংলার তিনটি প্রকল্পের কাজ হবে। এই তিনটি প্রকল্পের কাজ হবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের আওতায়। রেলে তরফ থেকে মোট ৪৪৭২.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সুনিশ্চিত করার জন্য।

Advertisements

আরও পড়ুন : Vellore Medical Treatment Cost: ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যাবেন, তার আগে জেনে নিন নামমাত্র খরচে চিকিৎসার রহস্য

৪৪৭২.৩০ কোটি টাকা যে সকল সেকশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সেগুলি হল বালিচক থেকে রাখামানইস, হাওড়া থেকে দুনিয়া এবং খড়গপুর থেকে ভদ্রক সেকশনের জন্য। বালিচক থেকে রাখামানইস সেকশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪১৪.৯০ কোটি টাকা। হাওড়া থেকে দুনিয়া সেকশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৩৬.২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে খড়গপুর থেকে ভদ্রক সেকশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০২১.২০ কোটি টাকা।

রেলের তরফ থেকে এই যে বিপুল টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তার মধ্যে বালিচক থেকে রাখামানইস সেকশনে সেফটি ফেন্সিং করা হবে। হাওড়া থেকে দুনিয়া সেকশনের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই টাকা দিয়ে সেফটি ফেন্সিং-এর পাশাপাশি সাবওয়ে তৈরীর কাজ করা হবে। অন্যদিকে খড়গপুর থেকে ভদ্রক পর্যন্ত সেকশনের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই টাকা দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। এই সকল কাজ হয়ে যাওয়ার পর ওই সকল ট্র্যাকে ট্রেন ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম হবে।

Advertisements