শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে রেল বাজেট ঘোষণা হতে চলেছে ১ লা ফেব্রুয়ারি। দেশের এই আগামী রেল বাজেট নিয়ে জনগন যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন। কেমন হতে চলেছে এই আগত রেল বাজেট তাই নিয়ে কিছুটা হলেও আশা রয়েছে দেশের জনগণের মনে। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করবেন।
রেল পরিবহন ব্যবস্থা এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে কেবলমাত্র দেশের নিম্ন মধ্যবিত্তরা নন তার সাথে সাথে উচ্চবিত্তরাও সফর করে থাকেন। তাই রেল বাজেট নিয়ে জনগন যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন। আগাম জানা গিয়েছে, এই নতুন বাজেটে ১০টি নতুন ট্রেনের ঘোষণা হতে পারে।
ভারতীয় রেল ব্যবস্থা দেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সারা দেশে চালু রয়েছে। যা যাত্রীদের সস্তা ভাড়ায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে অতি সহজেই সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে দেয়। কেবলমাত্র যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়াই নয় সাথে সরকারের রোজগারের ক্ষেত্রেও একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে রেলের।
জি বিজনেস থেকে প্রাপ্ত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারের বাজেটে রেলের খরচ পনেরো শতাংশ বাড়তে পারে। এমনকি যাত্রীদের সুবিধার্থে দশটি নতুন ট্রেনের ঘোষণা হতে চলেছে এই রেল বাজেটে। এই প্রতিটি ট্রেন ‘বন্দে ভারত’ রেক নিয়ে লাইনে নামানো হবে। বাজেটে আরও একটি বিশেষ ঘোষণা করা হবে হাইস্পিড রেল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। এই সম্পর্কে সরকারের একটি বিশেষ লক্ষ্য রয়েছে।
ট্রেনের গঠনের ক্ষেত্রেও সরকার এবার বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। লম্বা সফর করা ট্রেন গুলির ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কোচ তৈরি করা হবে ফলে ট্রেনের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। এই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কোচগুলি এমন রুটে চালানো হবে যেখানে ইলেকট্রোফায়েড এবং ডবল লাইন রয়েছে। এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানি গুলিকেও যুক্ত করা হতে পারে।
৫০০টি রেলওয়ে স্টেশনকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এমনকি দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে হাইড্রোজেন, বায়োফুয়েল, সৌরশক্তিতে চলা ট্রেন সম্পর্কে ঘোষণা হতে পারে এই নতুন বাজেটে।