নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের মেরুদন্ড রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। এবার এই রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে ট্রেনে যাতায়াত করার সময় ট্রেন ছেড়ে দিলেও রিজার্ভেশন অর্থাৎ সংরক্ষিত সিট মিলবে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এবার টিকিট পরীক্ষা করার জন্য টিকিট পরীক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল বা এইচএইচটি। এই যন্ত্র আসার ফলে আর টিকিট পরীক্ষকদের হাতে কাগজ নিয়ে কামড়ায় কামড়ায় ঘুরতে হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মেশিনে যাত্রীর পিএনআর নম্বর দিলেই টিকিটের সমস্ত তথ্য চলে আসবে।
এই মেশিন টিকিট পরীক্ষকদের হাতে আসার পর থেকেই ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরেও রিজার্ভেশন অর্থাৎ সংরক্ষিত সিট পাওয়া সহজ হবে। সংরক্ষিত টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক যখন দেখবেন কোন যাত্রী সংরক্ষিত টিকিট বুকিং করেও অনুপস্থিত তখন সেই তথ্য সরাসরি চলে যাবে পূর্ব রেলের দিল্লি সদর দফতর অথবা ফেয়ারলি প্লেসে। তারপর টিকিট পরীক্ষক ওই সিট অন্য কোন যাত্রীকে দিতে পারবেন। এই ব্যবস্থার ফলে কাজে স্বচ্ছতা আসবে।
উদাহরণস্বরূপ, কোন ট্রেন হাওড়া থেকে দিল্লি রওনা দিয়েছে। সেই ট্রেনের কোন যাত্রী হাওড়া থেকে রিজার্ভেশন টিকিট করার পর অনুপস্থিত। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল মেশিনে পিএনআর নম্বর দিয়ে যাত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়টি এন্ট্রি করলেই তা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে রেলের সদর দপ্তরে। এখন কোন যাত্রী যদি বর্ধমান থেকে ওই ট্রেনে উঠতে চান তাহলে তিনি ওই ফাঁকা সিটের জন্য তৎক্ষণাৎ রিজার্ভেশন করে নিতে পারবেন।
আগে এইরকম যাত্রীদের অনুপস্থিতির সিটকে কেন্দ্র করে নানান দুর্নীতির অভিযোগ উঠতো। এখন এই ব্যবস্থার ফলে এ সকল দুর্নীতির কোন জায়গা যেমন থাকবে না সেই রকম যাত্রীদেরও সুযোগ বাড়ছে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরেও রিজার্ভেশন টিকিট বুক করার।