Indian Railways: ভারতীয় রেল হলো পরিবহন ব্যবস্থার দিক থেকে এশিয়া মহাদেশ অন্যতম বৃহৎ নেটওয়ার্ক। সমাজের যেকোন স্তরের মানুষের জন্য দেশের এই পরিবহন ব্যবস্থা সত্যি অন্যতম। স্বল্প খরচে এবং অল্প সময়ে দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে নিমেষের মধ্যে। দেশের জনগণের অন্যতম ভরসার জায়গা হলো এই রেল। সবথেকে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ যাত্রা করা যায় ভারতীয় রেলের মাধ্যমে।
প্রতিবছর ভারতীয় রেল (Indian Railways) চাকরি দিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষকে। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তৈরি হয়েছে মোট কর্মসংস্থান ৪.৪ লক্ষের থেকেও বেশি। এতথ্য সবিস্তারে তুলে ধরেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। চাকরির দিক থেকে ভারতীয় রেল অনেকটাই কর্মসংস্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছে দেশের মানুষকে।
আরো পড়ুন: রেলের নতুন প্রচেষ্টায় উপর দিয়ে যাবে ট্রেন এবং সরে যাবে জাহাজ এলে
নাগপুরে রেল কর্মীদের (Indian Railways) কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই কথা বলেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য রেলওয়ে প্রথমবার একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডারও তৈরি করে ফেলেছে। এতে সুবিধা হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। তারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং সেই মতো তৈরি করতে পারবে নিজেদেরকে। সামগ্রিক উন্নয়নের উপর রেল বরাবর জোর দিয়ে এসেছে। চাকরির জন্য তারা সর্বদাই সুযোগ করে দিয়েছে প্রার্থীদের।
আরো পড়ুন: ৮৩৭ কোটির বরাত পেলো RVNL, শুরু হবে নতুন লাইন পাতা এবং ব্রিজ নির্মাণের কাজ
রেলের (Indian Railways) উন্নয়ন নিয়ে সত্যিই আলাদা করে কিছু বলার নেই। এক অভিনব রূপরেখা তৈরি করেছে ভারতীয় রেল। অভিজ্ঞতা এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণে নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলেছে ভারতীয় রেলব্যবস্থা। রেলমন্ত্রী এই বিষয়ে জানান, রেলের উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার নতুন জেনারেল কোচ। যাত্রীদের সামগ্রিক পরিবহন কাঠামো আগের থেকে আরও বেশি উন্নত করা হচ্ছে এবং আরামদায়ক করা হচ্ছে। যাত্রা হয়ে যাবে আগের থেকে আরো অনেক বেশি সহজতর।
পাশাপাশি দেশের সংবিধান দিবসে ডক্টর আম্বেদকরকে জানানো হয়েছে বিশেষ শ্রদ্ধা। তিনি বলেছেন, ডক্টর আম্বেদকর দেশকে একটি শক্তিশালী সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তবে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধার কথা মুখে বললেই হয় না বরং তা ফুটিয়ে তুলতে হয় কাজের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কথাই জনগণের সামনে উপস্থাপিত করেছেন রেলমন্ত্রী।