The Railway Minister himself gave an update on the construction of the Mumbai Ahmedabad bullet train: ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ভারতের বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মধ্যেই ৫০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজ শুরুর প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই ১ কিলোমিটারের ভায়াডাক্টের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। যত দ্রুত সম্ভব এই পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করছে ভারত সরকার।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই থেকে গুজরাটের আহমেদাবাদ পর্যন্ত ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন (Bullet Train) পরিষেবা চালু হতে চলেছে। গত ২ বছর ধরে এই পরিষেবা চালু করার জন্য কাজ চলছে। মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ অব্দি বুলেট ট্রেনের পরিষেবা চালু হলে দুটি এলাকার মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড ইকোনমিকের উন্নতি হবে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার। বুলেট ট্রেন তৈরির কাজ কতটা এগুলো? আর কতদিন লাগবে পরিষেবা চালু হতে? সম্প্রতি সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যম দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে বুলেট ট্রেন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানালেন ভারতীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্বয়ং।
ঐদিন রেলমন্ত্রী বলেন বুলেট ট্রেন (Bullet Train) কে ইন্টিগ্রেটেড ইকোনমিকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে হবে। বুলেট ট্রেনের প্রথম করিডোর হয়ে উঠবে মুম্বাই, থানে, ভাপি, বড়দা, সুরত, আনন্দ ও আহমেদাবাদ। এই সমস্ত এলাকার অর্থনীতি মিলিতভাবে নতুন একটি অর্থনীতি সৃষ্টি করবে, ফলে আপনি সুরাতে সকালের খাবার খেয়ে মুম্বাই গিয়ে নিজের যাবতীয় দৈনন্দিন কাজ শেষ করে আবার রাতের মধ্যে নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে পারবেন নির্ঝঞ্ঝাটে।
রেলমন্ত্রী আরও জানান যে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ অব্দি করিডোরে মোট আটটি নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু করে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজ শেষ করে ফেলেছে ভারতীয় রেল দপ্তর। কিন্তু এই ট্রেনের ভাড়া কত হবে! তা বিমানের চেয়ে কম না বেশি! সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি রেলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের জন্য মোট ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় রেল দপ্তরের তরফ থেকে দেওয়া হবে ১০ হাজার কোটি টাকা এবং গুজরাট ও মহারাষ্ট্র রেল দপ্তর থেকে দেওয়া হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাকি টাকা ভারতকে আপাতত ধার হিসেবে দিচ্ছে জাপান। ১৯৬৪ সালে জাপানেই প্রথম চলাচল শুরু করে পৃথিবীর সবথেকে উচ্চগতি সম্পন্ন ট্রেন অর্থাৎ বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ এই রেল পরিষেবা চালু করেছে। বুলেটের হাত ধরে ভারতীয় রেলের যুগান্তকারী পরিবর্তন দেখার অপেক্ষায় গোটা দেশবাসী।