নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার বাসিন্দাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসা হলো মেট্রো (Metro Rail)। মেট্রো রেল থাকার কারণে অতি সহজেই যানজট এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও মেট্রো থাকার ফলে যাতায়াতের খরচ কয়েকগুণ কমে যায় বাসিন্দাদের। তবে সব জায়গায় তো আর মেট্রো চালু হয়নি, যে কারণে কলকাতাবাসীদের বরাবর দাবি রয়েছে যত দ্রুত সম্ভব বেছে নেওয়া রুটগুলিতে মেট্রো চালু করার।
এমনিতেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। তবে গত বছর এই পরিষেবা চালু হওয়ার জল্পনা ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত চালু হয়নি। এমনকি এখনো পর্যন্ত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড মেট্রো পরিষেবা চালু হয়নি রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফ থেকে। তবে এই রুটে এখনো পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের অনুমতি না মিললেও একটি রুটে মেট্রো চলাচলের অনুমতি মিলল।
সম্প্রতি মেট্রো রেলের সেফটি কমিশনার কলকাতা মেট্রোর বিভিন্ন রুট পরিদর্শন করে যান, যে সকল রুটে এখনো পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। এই পরিদর্শনের পরই আপাতত নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফ থেকে। যে কারণে এই রুটে আর মেট্রো চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকছে না। অন্যান্য রুটগুলিতে এখনো পর্যন্ত অনুমতির বিষয়ে তেমন কিছু জানা না গেলেও এই রুটটি লোকসভা ভোটের আগেই কলকাতার বাসিন্দারা উপহার হিসেবে পাবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫.৪ কিলোমিটার রাস্তায় রয়েছে মোট পাঁচটি মেট্রো স্টেশন। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থায় এই রুটে একটি ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের অনুমতি গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলেছিল। কিন্তু বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা পরে সংযুক্ত করার কাজ করা হয়। এরপর সব দিক দেখে এখন মেট্রো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে কলকাতার বাসিন্দাদের প্রত্যাশিত জোকা থেকে মাঝেরহাট এবং হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা শুরুর অনুমতি এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তবে এই দুই রুটের অনুমতি খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে বলেই আশা করছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই সকল রুটের মেট্রো পরিষেবা চালু করার জন্য পরিদর্শনের সময় বেশ কিছু সমস্যা সামনে আসে এবং সেই সকল সমস্যা সমাধান করে তার তথ্য পাঠানো হবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারকে।