৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রকম যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর সেই সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জনতা কারফিউয়ের ডাক দিয়েছেন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে জনতা কারফিউ চলবে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত। আর এরই মাঝে সমস্ত রকম যাত্রীবাহী রেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।

দেশজুড়ে জনতা কারফিউ চলার দিনই অর্থাৎ রবিবার রেলমন্ত্রী তরফ থেকে ট্যুইট করে রেল বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়। ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “COVID-19-এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত কোনো রকম প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে না।”

প্যাসেঞ্জার ট্রেন বলতে রেলের তরফ থেকে বোঝানো হয়েছে সমস্ত রকম লোকাল, মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন, প্রিমিয়াম ট্রেন, কলকাতা মেট্রো ও কোঙ্কন মেট্রো সমস্ত কিছুকে। তবে আজ রাত্রি ১২ টা পর্যন্ত কলকাতার সাবার্বান ট্রেন ও মেট্রো রেল চলবে। তারপর থেকে এদের পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত।

পাশাপাশি রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রবিবার ভোর ৪ টের আগে পর্যন্ত যে সকল মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করেছে, সেই সকল ট্রেনগুলি তাদের যাত্রা শেষ করবে। আর এই সকল ট্রেনগুলি যে সকল রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছাবে সে সকল রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের সমস্ত রকম মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের কারোর শরীরে জ্বর অথবা সর্দি-কাশি দেখা দিলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর। এছাড়াও যাত্রীদের সকলকে ১৪ দিনের জন্য গৃহবন্দী থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যাত্রীবাহী অর্থাৎ প্যাসেঞ্জার ট্রেন আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হলেও জরুরী পরিষেবা চালু রাখার জন্য, পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণের জন্য পণ্যবাহী ট্রেন চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ভারতে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৪১। মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৭-এ। যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ইতালি পর্যটক, বাকিরা সকলেই ভারতীয়। গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫। তারপর রবিবার একদিনে দুজনের মৃত্যু হয়। একজন বিহারের ৩৮ বছরের যুবক ও অন্যজন মুম্বাইয়ের।