পুজোয় আরও ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর তোড়জোড় শুরু করলো রেল

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুম মানেই সমস্ত কিছুর চাহিদা বাড়ায়। অন্যান্য জিনিসের চাহিদামত বাড়তে থাকে গণপরিবহণের চাহিদাও। আর ভারতের মতো দেশে গণপরিবহণের সব থেকে বড় মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্বাভাবিক রেল পরিষেবা। রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাতেগোনা কতকগুলি স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। আর এবার সুখবর এটাই যে পুজোর আগে আরও ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিলো ভারতীয় রেল।

Advertisements

Advertisements

রেলবোর্ডের সিইও বিনোদকুমার যাদব জানিয়েছেন, এই উৎসবের মরসুমে ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। তবে এখনই এই সকল ট্রেন কোন রুটে চালানো হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি। বরং যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সকল রুট ঠিক করা হবে রেল বোর্ডের তরফ থেকে।

Advertisements

নতুন করে আরও ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে রেলবোর্ডের সিইও বিনোদকুমার যাদব আরও জানিয়েছেন, “আমরা রেলের প্রতিটি জোনকে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছি স্থানীয়ভাবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে রিপোর্ট রেল বোর্ডের কাছে এসে জমা পড়বে সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ঠিক করা হবে কোন রুটে নতুন এই ট্রেনগুলি চালানো হবে। হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ২০০ টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে।”

এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, বর্তমানে যে সকল রুটে স্পেশাল ট্রেন চলছে সেই সকল রুটের যাত্রীরা সবসময়ই পর্যালোচনা করা হচ্ছে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। যে সকল রুটে যাত্রী চাহিদা ব্যাপক সেই সকল রুটে ক্লোন ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে। এমনকি কোন রুটে যদি ক্লোন ট্রেনের প্রতিটি আসন সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই রুটে আরও একটি ক্লোন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

মোটের উপর দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক রেল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে বহু মানুষকেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার এবং ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এক্ষুনি রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার দুঃসাহস নিতে পারছে না। যদিও আনলক পর্যায়ে যখন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র খোলার মুখে তখন সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক রেল পরিষেবার দাবি তুলছেন বারংবার।

Advertisements