নিজস্ব প্রতিবেদন : গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যের অধিকাংশ জেলার বাসিন্দাদের। একদিকে দিন দিন বাড়ছে সূর্যের প্রখর তেজ, আবার অন্যদিকে বাড়ছে আদ্রতা। এই দুয়ের যাঁতাকলে পড়ে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাসিন্দাদের।
চলতি বছর শীতের মরশুম শেষ হওয়ার পর দেড় মাসের পর কাছাকাছি সময় ধরে গ্রীষ্মের এই দাবদাহ চললেও এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির যেমন দেখা মেলেনি ঠিক তেমনি সাময়িক স্বস্তি দিতে আসেনি কালবৈশাখীও। এখন এই পরিস্থিতিতে চাতকের মত প্রত্যেকেই তাকিয়ে বৃষ্টির দিকে।
এমন মুহূর্তে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বর্ষবরণের দিন বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। চৈত্র শেষেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। তবে বাকি জেলাগুলি শুষ্ক থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ আগামীকাল যে সকল জেলার ক্ষেত্রে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই সকল জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া সংক্রান্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শেষ ২৪ ঘন্টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবারও এই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে একই রকম। অন্যদিকে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবারও এই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে একই রকম।