নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। আর এই মুখভার পরিস্থিতির কারণে বেড়ে চলেছে অস্বস্তি। গুমোট গরমে নাজেহাল রাজ্যের বাসিন্দা তাদের। তবে এমত অবস্থাতেই সুখবর দিল হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিকাল গড়াতেই কেটে যাবে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। সন্ধ্যার মুখে ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী। আর এই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম হলেও তা প্রায় অসহ্য। মূলত বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
একইভাবে শ্রীনিকেতন হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তিনি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। রাজ্যের সর্বত্র আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দিনভর অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী এদিন দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় কালবৈশাখীর প্রবণতা রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই সকল জেলাগুলিতে কালবৈশাখীর পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার ঘন্টা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকাল এবং সন্ধ্যার দিকে থেকে কালবৈশাখীর সাথে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানালেও জানানো হয়েছে এই ঝড় বৃষ্টির কারণে সাময়িক স্বস্তি মিলবে রাজ্যের বাসিন্দাদের। কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমবে। তবে পুনরায় বাতাসে জলীয় বাষ্প বৃদ্ধির কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। সবথেকে বেশি ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে।