ঘূর্ণিঝড় বিদায়ে পোয়াবারো, এই দিন থেকে দেখা মিলবে স্বস্তির বৃষ্টির

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) আশঙ্কায় দিন গুণছিলেন বাংলার মানুষ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সেই ঘূর্ণাবর্ত মোকা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এই যাত্রায় রক্ষা পায় পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গকে কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘেঁষে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যায় মায়ানমার উপকূলে।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত এবং ঘূর্ণাবর্ত থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় পড়েনি ঠিকই, তবে এর উল্টো প্রভাব পড়েছে বাংলা জুড়ে। জলীয়বাষ্প শুষে নেওয়ার ফলে চরম গরমে নাভিঃশ্বাস অবস্থা হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গার বাসিন্দাদের। তবে যখন মোকা বিদায় নিয়েছে সেই সময় রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন কবে দেখা মিলবে বৃষ্টির?

এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকা বিদায় নেওয়ার ফলে এবার পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে পারবে জলীয় বাষ্প। জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করলেই ১৭ মে থেকে বদলে যাবে রাজ্যের আবহাওয়া। মোটামুটি মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ মে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির প্রবণতা দেখা যাবে আর এই প্রবণতা চলবে ২০ মে পর্যন্ত।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার এই পরিবর্তন সবার প্রথম লক্ষ্য করা যাবে উত্তরবঙ্গে এবং তারপর দক্ষিণবঙ্গে। প্রথমদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির দেখা মিলবে এবং তারপর ধাপে ধাপে দক্ষিণবঙ্গেও ঝড় বৃষ্টির দেখা মিলবে। যে ভয়ংকর তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছিল তার অবসান ঘটবে।

তবে এই ঝড় বৃষ্টির আগে পর্যন্ত অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। যে সকল জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে সেগুলি হল বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান। এই সকল জেলার তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ধারে কাছে ঘোরাফেরা করবে।

বুধবার থেকে মোটামুটি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুরে।