নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই লাগাতার বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ। তবে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থাটা সম্পূর্ণ আলাদা। সপ্তাহ খানেক আগে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমেছে। পাশাপাশি বৃষ্টি না হলেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিবেশ, আর এই পরিবেশে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। তবে এরই মাঝে আশার আলো দিয়েছে হাওয়া অফিস, জানানো হয়েছে আজ এবং কাল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা আগ্রা, এলাহাবাদ ও কেওনঝাড় হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। অন্যদিকে গুজরাত, পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। ঠিক একইভাবে উত্তর-দক্ষিণ নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত। আর এই সকল কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যগুলিতে। আর এই জলীয়বাষ্পের কারণেই বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়ে বর্ষণ চলছে।
অন্যান্য দিনের মতো এদিনও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ও সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পংয়ে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অল্প বিস্তর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। আর এই সকল জেলাগুলিতে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৪.৬ মিমি। পাশাপাশি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নদিয়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে কয়েক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শনিবার ও রবিবার। এই জেলাগুলিতে সোমবার ও মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।