নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ২১ জুন শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ৩১ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করার পর টানা ১৯ দিন এক জায়গাতেই স্থির থাকে। তারপর নড়তে চড়তে শুরু করলে এখন ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আর এর প্রভাবেই আগামী কয়েক ঘণ্টাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rainfall Forecast) নামবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়।
শুক্রবার যে সকল জেলায় বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গের সেই সকল জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। এই সকল জেলা জুড়ে বর্ষা প্রবেশের পাশাপাশি আংশিকভাবে কিছু কিছু জেলায় বর্ষার আগমন হয়ে গেছে। আংশিকভাবে বর্ষা ঢুকেছে বীরভূমের মুর্শিদাবাদ ঘেঁষা অংশে, পূর্ব বর্ধমানের নদীয়া ঘেঁষা অংশে, হুগলির নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা ঘেঁষা অংশে এবং হাওড়ার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা ঘেঁষা অংশে।
বর্ষা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু’তিন ঘণ্টার মধ্যেই ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বৃষ্টির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের আরো বেশ কিছু জেলাতেও শনিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Toy Train Cancelled: উত্তরবঙ্গের এই রুটে ১১ দিন বাতিল টয় ট্রেন, রইল পুরো তালিকা
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়্গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই সকল জেলার পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং তীব্র গরমের পর ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণবঙ্গে আগমনের কারণে আর সেই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি নেই। তবে আবার যে সকল জেলায় এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি সেই সকল জেলায় স্বস্তিও ফেরেনি। গরমের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় এখন বজায় রয়েছে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে খুব তাড়াতাড়ি রক্ষা পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।