Ram Lala Diwas: অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুধুমাত্র ভারতের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ধর্মীয় মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এবছরের ২২ শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই মহাতীর্থের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল, যা গোটা দেশকে আলোড়িত করেছিল। এবার সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজস্থান সরকার নিয়ে এল এক অনন্য উদ্যোগ—রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলে পালিত হবে ‘রামলালা দিবস’ (Ram Lala Diwas)।
রাজস্থানের স্কুলগুলোতে ২২শে জানুয়ারি রামলালা দিবস (Ram Lala Diwas) পালনকে কেন্দ্র করে বিশেষ কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হবে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেখানে রামমন্দির এবং রামায়ণের নানান দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন করবে শিশুরা। এছাড়া, রাখি বন্ধনের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনকে তুলে ধরা হবে। এই বিশেষ দিনটি শিক্ষার্থীদের মনে রামলালার মহিমা ও গুরুত্বের ধারণা গভীরভাবে প্রোথিত করবে।
রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে যদিও কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তবুও রাজস্থানের এই সিদ্ধান্তে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। চার শঙ্করাচার্য রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন এবং দাবি করেন যে অসম্পূর্ণ মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা ধর্মীয় নিয়মের পরিপন্থী। কিন্তু সমস্ত বিতর্ককে উপেক্ষা করে এবং রামভক্তদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে, মহা সমারোহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
যদিও উদ্বোধনের কিছুদিন পরেই মন্দিরের গর্ভগৃহে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যার কথা শোনা যায়, তবুও রাজস্থানের সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি। বরং, তারা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে বদ্ধপরিকর।
রাজস্থানের এই সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়, গোটা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং প্রচারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। রামলালা দিবসের (Ram Lala Diwas) মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই দিনটি শিক্ষার্থীদের মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে এবং তাদের মধ্যে রামের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা আরও দৃঢ় হবে।