২ বাচ্চা ফেলে পাকিস্তানি ফেসবুক বন্ধুকে বিয়ে করলেন অঞ্জু! আবার জমিয়ে বানালেন ভিডিও-ও

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগেই ভালোবাসার টানে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে (India) আসেন সিমা। চার সন্তানের মা সিমা ভারতে এসে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করে আর পাকিস্তান ফিরে যেতে চান নি। তবে এরই মধ্যে আবার নতুন আরও এক কাহিনী জানা যায়। নতুন এই কাহিনীর হিরোইন হলেন রাজস্থানের গৃহবধূ অঞ্জু (Anju)। এই গৃহবধূ আবার নিজের দুই সন্তানকে বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান পাকিস্তান।

অঞ্জুর পাকিস্তানে যাওয়ার পর থেকেই এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় সামনে আসছে অঞ্জু (৩৪) এবং তার বন্ধু নাসরুল্লাকে (২৯) নিয়ে। তবে সম্প্রতি দুজনের লেটেস্ট আপডেট নিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রাজস্থানের ওই গৃহবধূ এখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার নাম হয়েছে ফাতিমা। নাসরুল্লা হলেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আপার দির জেলার বাসিন্দা। তবে তারা দুজনেই এখনো নিকাহ নিয়ে সেই ভাবে কোন কথা বলেননি। কিন্তু তাদের রোমান্সের একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের নাসরুল্লার সঙ্গে রাজস্থানের গৃহবধূ অঞ্জুর ফেসবুকে প্রথম পরিচয় হয় ২০১৯ সালে। তারপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর সেই প্রেমের টানেই এখন ওই গৃহবধূ স্বামী অরবিন্দ এবং দুই সন্তানকে ছেড়ে চলে যান পাকিস্তানে। ওই গৃহবধূর বাড়িতে এখন পড়ে রইলেন ১৫ বছরের এক মেয়ে এবং ৬ বছরের এক ছেলে।

রাজস্থান থেকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার পর অঞ্জু নাসরুল্লার বাড়িতেই থাকা শুরু করেন বলে জানা যায়। তবে প্রথম দিকে নাসরুল্লা দাবি করেছিলেন তাদের দুজনের মধ্যে কোনরকম প্রেমের সম্পর্ক নেই। এমনকি গত সোমবার পর্যন্ত তিনি দাবী করেছিলেন, তারা বিয়ে করছেন না। তবে ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই বদলে গেল সেই ছবি। আর এখন অঞ্জুকে ধর্মান্তরিত করে তিনি বিয়ে করেছেন বলেই জানা গেল।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আপার দির জেলার স্থানীয় আদালতে অঞ্জু অর্থাৎ ফতিমা বিয়ে করেছেন নাসরুল্লাকে। মোহড়ার সিটি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নাসরুল্লা এবং অঞ্জুর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। অঞ্জু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ফতিমা হওয়ার পর পুরোপুরি ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নিকাহ সম্পন্ন হয়েছে। নিকাহের সময় নাসরুল্লা পরিবারের সদস্যরা এবং আইনজীবী ও পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর পাশাপাশি কড়া পুলিশি নজরদারি দেওয়া হয়েছিল।