‘দুঃখ থাকলেও আরও শক্ত হতে হবে’, শহীদ রাজেশের বাড়িতে এসে বললেন কর্নেল

Madhab Das

Updated on:

হিমাদ্রি মণ্ডল : জুন মাসের ১৫ তারিখ রাতে লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চীন সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সংঘাতে শহীদ হন ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান। এই সকল সেনা জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের বীর পুত্র রাজেশ ওরাং। শহীদ হওয়ার পর সোমবার রাজেশ ওরাংয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হলো। আর এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান এসে পৌঁছান কর্নেল ঋষিকেশ মিশ্র এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য অফিসাররা। এছাড়াও ছিলেন বীরভূম জেলা প্রশাসনের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার সিং, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা।

শহীদ রাজেশ ওরাং আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়াই তাদের নিয়ম রীতি অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ রবিবার এবং সোমবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের বেশকিছু নিয়ম পালন করা হয়। আর এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে এসে সেনাবাহিনীর কর্নেল ঋষিকেশ মিশ্রা জানান, “আমাদের দুঃখ থাকলেও আরও বেশি শক্ত হতে হবে।”

শহীদ রাজেশ ওরাং প্রসঙ্গে কর্নেল এদিন বলেন, “দেখতে গেলেও আমার ভাই ছিল। আমরা সবাই একই পরিবারের। দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তবে আমরা আরও মজবুত হবো। দুঃখ অনেক আছে। আর আমি এটাই প্রার্থনা করবো ওর পরিবারকে ভগবান যেন শক্তি দেয়। আর আমাদের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে যতটা সম্ভব হবে আমরা করবো।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের সোমবার রাতে চীন ও ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পর রাজেশ ওরাংকে ভর্তি করা হয় লে লাদাখের আর্মি হাসপাতালে। মঙ্গলবার বিকালে রাজেশের বাড়িতে ফোন আসে রাজেশ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এর কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন আসে রাজেশ ওরাং আর এই পৃথিবীতে নেই, উনি শহীদ হয়েছেন। এরপর শুক্রবার রাজেশ ও ওরাংয়ের কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়ি বীরভূমের মহঃবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে গান স্যালুট এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দেহ সমাধিস্থ করা হয়।