চন্দন কর্মকার : বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। অন্যান্য এলাকার মত রাজনীতির পারদ চড়ছে বীরভূমেও। প্রত্যেক নির্বাচনের মতোই নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে এবারও পারদ চড়াচ্ছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তাকে বিজেপিকে ‘ঠেঙিয়ে পগার পার করে দেওয়ার’ নিদান দিতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডলের নিদানের পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজু ব্যানার্জি। তার নিদান ‘ডাং হাতে নিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিন’। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বদলও হবে, বদলাও হবে। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না।’
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজু ব্যানার্জি সাঁইথিয়া একটি পথসভা করেন আর সেই পথসভা শেষে বক্তব্য রাখার সময় এই ভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দেন এবং তৃণমূলের দুর্নীতি তুলে ধরে বদলের পাশাপাশি বদলা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মহাবিজয় যজ্ঞ নিয়েও কটাক্ষ করেন। অনুব্রত মণ্ডলকে রাবণ আখ্যা দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল যতই যজ্ঞ করুক তিনি অশুভ শক্তি। তিনি রাবণ, রাবণ। আর এই অশুভ শক্তির পরাজয় নিশ্চিত আছে। এই বীরভূমে ১১ টি আসন পাবে বিজেপি, তৃণমূল পাবে ০।”
অনুব্রত মণ্ডলের নিদানের পাল্টা নিতে গিয়ে রাজু ব্যানার্জি বলেন, “এখানে নিদান দিচ্ছেন। এক একবার কি বলছিল। কি বলেছে, চরাম চরাম হবে। তারপর আবার কি বলেছে, গুড় বাতাসা খাওয়াবে তাই না। আবার কি বলছে নকুলদানা। তারপর আবার কিছুদিন আগে অক্সিজেন কম যাওয়া লোকটা কি বলছে, বিজেপি এলে পগার পার করে দাও। আমিও আপনাদেরকে বলছি, নিদান দিচ্ছি, ওই অনুব্রত মণ্ডলের গুন্ডারা এলে ডাং হাতে নিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিন।”
এখানেই শেষ নয়, এরপরে তিনি বলেন, “এইভাবে চলতে পারে না বন্ধু। ভোটারদের ভোট দিতে দেবে না। ভোট দিতে না দিয়ে জোর করে গুন্ডাদের দিয়ে ভোট করাবে। এরপর ক্ষমতায় আসবে আর তারপরে খালি লুটেপুটে খাবে। আর ওদিক থেকে দিদিমণি কি বলবে তোমরা ২৫ রাখো আর ৭৫ আমাকে দাও। তোমরা ২৫ রাখো আর ৭৫ আমাকে দাও। আর এই ৭৫-এর খেলা দেখুন। রয়েছে কারা, পিসি আর ভাইপো। আর দুজনের খেলাটা দেখুন। ভাইপো বলছে আমাকে ফাঁ’সিতে নিয়ে চলো ফাঁ’সি যাবো। আর পিসি বলছে আমাকে কাশিতে নিয়ে চলো আমি কাশি যাবো। আর দুজনে যা স্বপ্ন দেখছেন বাংলার জনতা সেই স্বপ্নকে পুরো পূরণ করে দেবেন। পিসি আর ভাইপোকে চিন্তা করতে হবে না।”