গাড়িচালক থেকে বগটুইয়ের বেতাজ বাদশা, অনুব্রত গড়ের কে এই ভাদু শেখ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বগটুই গ্রামের বেতাজ বাদশা বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর এই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রামপুরহাট। তার খুনের পরেই তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। কে এই ভাদু শেখ, যার মৃত্যুর পরে ৮ জনের (সরকারি হিসাব) মৃত্যু! কেনই বা এত নৃশংস ভয়ঙ্কর ঘটনা!

ভাদু শেখ, যিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ছিলেন। তার বাড়ি ছিল বগটুই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণে রাশ ছিল তার হাতেই। তার ডান হাত তথা অন্যতম অনুগামী হলেন লালন শেখ। তবে পরবর্তীতে এই লালন শেখই হয়ে ওঠেন ভাদুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা।

ভাদু শেখ প্রভাবশালী নেতা হলেও তার রাজনৈতিক উত্থান নজরকাড়া। ভাদু শেখ এলাকায় প্রথম পরিচিত ছিলেন থানার গাড়ি চালক হিসেবে। সেখান থেকেই পরবর্তীকালে তিনি হন থানার ডাক মাস্টার। শুধু তাই নয় এটাও শোনা যায় যে তিনি নাকি কোন এক সময় দিনমজুরের মতো কাজও করেছেন বিভিন্ন দোকানে। তবে এসবের মধ্য দিয়েই তাঁর রাজনৈতিক উত্থান।

রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল আসার পর তিনি ১০ বছর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি উপ প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন। এইভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বৈধ অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করে ভাদু। এর পরেই তার পকেটে মোটা টাকা আসতে শুরু করে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এলাকার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন তিনি।

সামান্য একজন থানার গাড়িচালক থেকে এইভাবে বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠার পাশাপাশি রাতারাতি রাজপ্রসাদ সমান বাড়ি তৈরি করান ভাদু শেখ। বাড়িতে তার দুটি গ্যারেজ রয়েছে। সেই সকল গ্যারেজে এসে দাঁড়ায় চার চারটে এসইউভি। গত সোমবার রাতে বগটুই গ্রামের এই বেতাজ বাদশা ভাদু শেখ ১৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকার দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে নিহত হন। তারপরেই আগুন জ্বলতে শুরু করে বগটুই গ্রামে। সকাল হতেই জানা যায়, মৃত্যু হয়েছে কমকরে ১০ থেকে ১২ জনের। যদিও পরে পুলিশ মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে জানায় ৮।