Ranaghat railway station will be decorated for 100 crores: পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে শেয়ালদার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল স্টেশন হলো রানাঘাট জংশন। অমৃত ভারত রেলস্টেশন প্রকল্পের আওতাধীন বেশ কিছু রেলস্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুন করে। কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না রানাঘাট রেল স্টেশনের। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল একসময়। পূর্ব রেলের কাছে রীতিমতো স্মারকলিপিও জমা করেছিল বেশ কিছু সংস্থা। তখনই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ভবিষ্যতে রানাঘাট স্টেশনের (Ranaghat Railway Station) আমল পরিবর্তন ঘটানো হতে পারে। সেই ইঙ্গিতই বাস্তব হতে চলেছে।
এবার সেজে ওঠার পালা রানাঘাট রেল স্টেশনের (Ranaghat Railway Station)। নথিপত্র অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই শুরু হবে রানাঘাট স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ রানাঘাট স্টেশনকে ১ টি মডেল রেলস্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রথম ধাপের জন্য ইতিমধ্যে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। খুব শীঘ্রই রানাঘাট রেলস্টেশনকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করবে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি সহযোগে সাজিয়ে তোলা হবে রেলস্টেশনটিকে।
ভারতের একাধিক রেল স্টেশনকে আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সাজিয়ে তোলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। সারা দেশের মোট ৫৩৮টি রেলস্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় নদীয়া জেলার অন্তর্গত কল্যাণী, গেদে, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর ইত্যাদি স্টেশনগুলোর নাম থাকলেও নাম ছিল না শিয়ালদা ডিভিশনের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল স্টেশন রানাঘাটের। তালিকায় রানাঘাট স্টেশনের (Ranaghat Railway Station) নাম না থাকায় রানাঘাট বাসিতো বটেই, নিত্য যাত্রীদের একাংশও অসন্তোষ প্রকাশ করতে ভোলেননি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে রানাঘাট রেলস্টেশন সাজিয়ে তোলার জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করার ঘোষণা প্রকাশ পাবার পরই আনন্দ প্রকাশ করেছেন রেল যাত্রীরা।
আরও পড়ুন ? New Budget: লটারি লাগতে চলেছে আমজনতার! সামনের বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য হতে পারে এই সকল বড় ঘোষণা
বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আয় হয় রানাঘাট রেল স্টেশন (Ranaghat Railway Station) থেকে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রেলস্টেশনকে ব্যবহার করেন যাতায়াতের জন্য। কিন্তু এই রেল স্টেশনে যাত্রী প্রতিক্ষালয় তো অনেক দূরের কথা, ন্যূনতম অনুসন্ধান অফিস জাতীয় কোন পরিষেবার ব্যবস্থাও নেই। রানাঘাট রেল স্টেশনের সাথে বনগাঁ ও গেঁদে এই ২ টি সীমান্তবর্তী রেল স্টেশনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে শিয়ালদা থেকে নৈহাটি পর্যন্ত একটি তৃতীয় লাইন চালু করা হয়েছে। এই নতুন তৃতীয় লাইনের সাথে যুক্ত করা হবে নৈহাটি থেকে রানাঘাট অব্দি স্টেশনগুলিকেও। লাইনটি চালু হলে এক্সপ্রেস ট্রেনকে আর লোকাল ট্রেনের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে না।
রানাঘাট স্টেশনটিকে (Ranaghat Railway Station) প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। রানাঘাট স্টেশনে তৈরি করা হবে নতুন ফুড ব্রিজ, জিআরপিএফ অফিস। প্ল্যাটফর্মগুলির আয়তনও বেশ কিছুটা বাড়ানো হবে। বাড়ানো হবে প্ল্যাটফর্মের শেডও। এছাড়াও তৈরী করা হবে শিততাপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়। এমনকি শুল্ক দপ্তরের অফিসও তৈরী হতে চলেছে এই স্টেশনে। বেশ কয়েকটি ধাপে শেষ হবে সম্পূর্ণ স্টেশন সংরক্ষণের কাজ। কাজ শেষ করার জন্য ২ বছরের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ঠিক মতো এগোলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।