নিজস্ব প্রতিবেদন : রানাঘাটের রেলস্টেশন চত্বরে ভবঘুরে জীবন কাটিয়েছেন রানু মন্ডল। তবে তার এই ভবঘুরে জীবনের পরিবর্তন ঘটে তার একটি গান শোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। তার গলায় লতা মঙ্গেশকরের সেই গান ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বলিউড পর্যন্ত পাড়ি দেন। তবে ভাগ্যের পরিহাসে ফের ফিরে আসেন রানাঘাটে।
কিন্তু জানেন কি, এই রানু মন্ডল এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। তার প্রতিটি ভিডিও এখন ইউটিউব, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সকল ভিডিওতে লক্ষ লক্ষ ভিউ, লাইক, হাজার হাজার কমেন্ট লক্ষ্য করা যায়। আর এতসব সত্ত্বেও তার নেই খাবার। এই লতাকন্ঠী রানু মন্ডলের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটে না।
বর্তমানে রানু মন্ডলের এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে দিন কাটছে তা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালবেলা জোটে এক কাপ লিকার চা সঙ্গে বড়জোর ন্যাতানো দু’টি ম্যারি বিস্কুট। দুপুরবেলা কি খায় জানেন? অধিকাংশ দিন দুপুর বেলা তার ভাত জোটে না। পরিবর্তে খান পাঁচ টাকা দামের এক প্যাকেট ম্যাগি সিদ্ধ। রাতে অধিকাংশ দিন না খেয়েই ঘুমাতে যেতে হয়। এই পরিস্থিতির কারণ তার ভাঁড়ার এখন শূন্য।
তিন বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেলিব্রেটি হয়ে ওঠা এই রানু মন্ডলের এখন বর্তমান পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ার পাশাপাশি তার বেশ কিছু অসুবিধাও তৈরি হয়েছে। তিনি এখন আর রেল স্টেশনে বসে ভিক্ষা করতে পারেন না, আবার বাড়ির বাইরে বের হওয়াটাও তার পক্ষে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেরোলেই কেউ-না-কেউ গান শোনানোর জন্য অনুরোধ করেন।
এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে যখন চুলো ধরছে না সেই সময় মানুষের এমন অনুরোধ, ইউটিউবারদের ভিড় তাকেও তিতিবিরক্ত করে তুলেছে। সেই কথায় তিনি জানাতে গিয়ে বলেছেন, “গান শোনার শখ! সারাক্ষণ বাড়িতে ভিড়। কিন্তু কোনও জানোয়ার একটু খাবার আনে না! শুধু ভিডিও করে লাইক বাড়ানোর ধান্দা”। এছাড়াও তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করে, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোবে কী করে?’