শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : রানু মণ্ডল, নামটি শুনলেই আমরা এক কথায় চিনে নিতে পারি, সেই রাতারাতি ভাইরাল হওয়া সঙ্গীত শিল্পীকে। একসময় রানাঘাটের স্টেশনে বসে গান গাওয়া থেকেই হঠাৎ প্রচারের আলোয়। তারপরেই বলিউডের রঙিন যাত্রার শুরু ছিল রানু মণ্ডলের। রাতারাতি গানের জগতে রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর এই সফরের মূল কারিগর ছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। তাঁর হাত ধরেই বিখ্যাত হয়ে ওঠা রানু মণ্ডলের।
অতি দ্রুত প্রচারের আলোয় আসলেও খুব বেশিদিন কিন্তু সেই খ্যাতি ধরে রাখতে পারেননি রানু মণ্ডল। রানাঘাট স্টেশন থেকে সোজা মুম্বই। এমন রঙিন স্বপ্নের যাত্রা বেশিদিন টিকে থাকল না তার। কিছুদিন পর থেকেই সব খ্যাতি আবার ফিকে হতে শুরু করে।
তারপর থেকেই বহুবার রানু মণ্ডল বহু কারণে চর্চায় এসেছেন বিভিন্ন কারণে। বহু সংবাদমাধ্যম তাঁর খোঁজে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়ে এসেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এত বিখ্যাত হয়েও কিছু লাভ হলোনা তাঁর। ফের তিনি ফিরে গেলেন রানাঘাটের সেই ভাঙ্গা চোরা বাড়িতে। যেখানে প্রতিদিনকার তার খাওয়ার টাও ঠিক মত জোটেনা। অন্যের ওপর নির্ভর থেকে সব কাজ করতে হয়। এইসব কিছু নিয়েই প্রচুর সংবাদমাধ্যম নানা প্রতিবেদন লিখেছেন।
এমনকি তাঁর এই রাতারাতি স্বপ্নের উড়ানের যাত্রা নিয়ে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে বড়পর্দায় ছবি যেখানে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ঈশিকা দে। রানু মণ্ডলের সামগ্রিক জীবনকাহিনী সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তবে এখনও রানু মণ্ডলের সাথে বহু মানুষ থেকে শুরু করে সংবামাধ্যমগুলো থেকে দেখা করতে যান কেউ আবার তাঁকে সাহায্য ও করে থাকেন নানা ভাবে। তাঁর থেকে এখনও শোনা যায় কিছুদিন আগেরকার তাঁর সেই স্বপ্নের যাত্রা গল্প। তিনি এখনও কিছু বলেননি। সমস্ত স্মৃতি আজও তাঁর মনে একইভাবে থেকেই গেছে। সেই গল্প তিনি আজ ও শোনান। যাঁর হাত ধরে তাঁর সফর হয়েছিল সেই হিমেশ রেশমিয়াকে তিনি আজও মনে রেখেছেন।
সম্প্রতি হওয়ায় এমনই কোনো সাক্ষাৎকারে তিনি হিমেশ রেশমিয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, হিমেশ রেশমিয়া নাকি একসময় তাঁকে কথা দিয়েছিলেন মুম্বইতে, ফ্ল্যাট ,এমনকি নিজের গাড়িও কিনে দেবেন। যেহেতু তাঁকে গানের রেকর্ডিং করতে বারবার মুম্বই যেতে হত সেই কারণে সেই উদ্যেশ্যে হিমেশ রেশমিয়া রানু মণ্ডলের জন্য মুম্বাইতে পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন বলেই কথা দিয়েছেন। এমন কথাই এখন রানু মণ্ডলের মুখে উঠে এসেছে তোতন ঘোষের সাক্ষাৎকারে।