লাল্টু : বীরভূমে ফের একটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এলো শনিবার। এবার এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত সাহাপুরে। যেখানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ এবং তাকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়।
জানা যাচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনার পর ওই নাবালিকা নিজে থানায় গিয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ ওই নাবালিকাকে সাহায্যে এগিয়ে আসে। পুলিশ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করে অভিযুক্ত ওই নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করার পর শনিবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সোমবার পুনরায় তাকে সিউড়ি পস্কো আদালতে তোলা নির্দেশ দেন বিচারক।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানিয়েছেন, “নাবালিকা ধর্ষণের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় ৩৭৬/২এফএম অফ আইপিসি ৪৬৮ পস্কো আইনে মামলা রুজু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ অর্থাৎ শনিবার অভিযুক্তকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করে এক দিনের পুলিশি হেফাজত দেন। সোমবার অভিযুক্তকে সিউড়ি পস্কো আদালতে তোলা হবে।”
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। সেই সকল ঘটনার সঙ্গে সংযোজন হলো এবার এই কাঁকর তলা থানা সাহাপুরের ঘটনা। অন্যদিকে এদিনের এই ঘটনায় আরও মারাত্মক। কারণ এই ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ নির্যাতিতার বাবা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে গত কয়েকদিনে এই নিয়ে তিনটি ধর্ষণ গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। যে তিনটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার মধ্যে দুটি গণধর্ষণের ঘটনা বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই বীরভূম জেলা পুলিশের স্বতঃস্ফূর্ততায় চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই তিনটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় শান্তিনিকেতনের আদিত্যপুর ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।