Rare Types of Gecko: এ যেন ঠিক কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! বাংলার মাটিতে ব্যাং খুজতে গিয়ে বিরল প্রজাতির তক্ষকের খোঁজ। নাম ইস্ট ইন্ডিয়ান লেপার্ড গেকো। তাও আবার বাংলার মাটিতেই। ঝাড়খণ্ডের কেশপুর কলেজের প্রাণীবিজ্ঞানেট অধ্যাপক সুমন প্রতিহার এই প্রাণীটির খোঁজ পান। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর পাহাড় এবং জঙ্গল এলাকায় বিরল দুই প্রজাতির সরীসৃপের খোঁজ পাওয়ার খবরে হুলুস্থুল পড়েছে তবে এদের কেউই সাপ নয় বরং তক্ষক জাতীয় প্রাণী!
কেশপুর কলেজের অধ্যাপক সুমন এলাকায় ঘুরে ঘুরে জীববৈচিত্রের সন্ধান করতে পছন্দ করেন। আগেও এই এলাকায় নতুন প্রজাতির ব্যাং এবং মাকড়শার খোঁজ পেয়েছেন তিনি। এদিনও নতুন প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধানে দূরের একটি পাহাড়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন। তখনই তাঁর চোখে পড়ে বাদামি রঙের গিরগিটির মতো শ্লথ গতির এই প্রাণীটিকে। সন্ধ্যে নেমে আসায় প্রাণীটিকে ভালো পর্যবেক্ষণের জন্য ধরে নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসেন তিনি। পরে পর্যবেক্ষণ করে বোঝেন এটি একটি ইস্ট ইন্ডিয়ান লেপার্ড গেকো (Rare Types of Gecko)।
আরো পড়ুন: যেতে হবে না চিনে, এবার আপনার কাছেই রয়েছে রঙিন পর্বতমালার খোঁজ
এরপর সুমন বাবু জানান ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের হিসেবে আমাদের দেশে ৭৭৮টি সরীসৃপ প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে ৪২৭টি প্রজাতি শুধু ভারতের মাটিতেই বাস করে। তিনি ঝাড়গ্রামে যে তক্ষকটির খোঁজ পেয়েছেন তা পরিসংখ্যানের হিসেবে বাংলার মাটিতে বেশ বিরল (Rare Types of Gecko)। চোরা শিকারীরা এইসব বিরল প্রজাতির প্রাণীর উপর নজর বেশি রাখে। এগুলিকেই ধরে পাচার করা হয় চিন ও পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে।
আরো পড়ুন: কম খরচায় ঘুরে আসুন ‘মিনি সুন্দরবন’ থেকে, শীতের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা
এই বিরল প্রাণীর (Rare Types of Gecko) খোঁজ শুধুমাত্র গেকোতেই আটকে থাকেনি বরং পেয়েছেন আরও একটি তক্ষক প্রজাতির জীব। যার নাম স্বর্ণগোধিকা বা ইয়েলো মনিটরের। এক ছাত্রের দেওয়া খবরে নাম না জানা একটি প্রাণীর সন্ধানে ছুটে যান একটি পোড়ো জমিতে। সেখানেই দেখা মেলে এই জীবের। এটিও একটি বিরল প্রাণীর তালিকার মধ্যে পড়ে। এছাড়াও এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীও বটে।
বাংলার মাটিতে এই দুটি বিরল প্রজাতির (Rare Types of Gecko) প্রাণীর খোঁজ পাওয়ার পরে অধ্যাপক সহ তাঁর তিন ছাত্র পবিত্র মাহাতো, মনোস ভূঁইয়া এবং চন্দন দণ্ডপাতেরা এই প্রজাতিগুলির আরও প্রাণীর খোঁজ চালাচ্ছে। এই বিষয়ে জ্যুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা ধৃতি বন্দোপাধ্যায় জানান বিজ্ঞান চর্চায় ফিল্ড ওয়ার্কের গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম অঞ্চল যে নতুন নতুন জীবের খনি সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখেনা। এই দুটি প্রাণীর খোঁজ তরুণ বিজ্ঞানীদের আরও উৎসাহ প্রদান করবে বলে অনুমান করছেন সকলে।