করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১৫০০ কোটি টাকা দিয়ে সামিল রতন টাটা

নিজস্ব প্রতিবেদন : টাটা গোষ্ঠী, যাকে আমরা সকলেই জানি। আর এই সংস্থার কর্ণধার রতন টাটা, যার কথা তো নতুন করে বলার কিছু নেই।যিনি তাঁর আয়ের ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ বছরে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োগ করে থাকেন। সেই রতন টাটাই আবারও দেশের বিপদের সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দিয়ে দেশের পাশে দাঁড়ালেন।

দেশকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি ১৫০০ কোটি টাকা অনুদান স্বরূপ সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন। আর এই ১৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে টাটা ট্রাস্ট এবং ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে টাটা সন্স। আর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে রতন টাটা জানিয়েছেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে, সংকট মোকাবিলায় জরুরী সংস্থাগুলিকে মোতায়েন করা প্রয়োজন।”

তবে অর্থ দিয়েই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই চালিয়ে যাওয়াটা এতটা সহজ নয়। এর জন্য দরকার দেশের মানুষের স্বতঃপ্রণোদিত সহযোগিতা, দেশের মানুষের স্বতঃপ্রণোদিত অংশগ্রহণ। তাছাড়া যত অর্থই আসুক না কেন একদিন না একদিন আমাদের এই অদৃশ্য প্রতিপক্ষের সামনে হার স্বীকার করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে দেশের প্রতিটি মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম কেয়ার্স নামে আরও একটি ফান্ড বানিয়েছেন।যেখানে দেশের যেকোনো নাগরিক তার ইচ্ছামত অনুদান দিয়ে দেশের এই লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে পারবেন। এখানে অনুদান বড় কথা নয়, বড় কথা হলো পাশে দাঁড়ানো। আর নতুন এই ফান্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ট্যুইট করে সকলকে জানিয়েছেন।

এছাড়াও দেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়ক, নেতা-নেত্রীরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমানভাবে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতানেত্রীরা তাদের সামর্থমতো ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তাদের সাংসদ কোটা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা দিচ্ছেন ত্রাণ তহবিলে। আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দেশের সমস্ত বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন এক মাসের বেতন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনুদান করতে।