১৮০০ কোটি টাকার কোম্পানি বিক্রি হল মাত্র ‘এত’ টাকায়, মাথায় হাত রতন টাটার

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাগ্য যে সবার সবসময়ই একই রকম যায় না তা এবার প্রমাণিত হলো রতন টাটার (Ratan Tata) ক্ষেত্রেও। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সবসময়ই যে শিল্পপতিকে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে সেই শিল্পপতিকেও মাথায় হাত দিতে হল। কারণ ১৮০০ কোটি টাকায় তৈরি তার কোম্পানি বিক্রি করতে হলো না মাত্র কিছু টাকায়।

Advertisements

১৮০০ কোটি টাকা দিয়ে যে কোম্পানি তৈরি হয়েছিল সেই কোম্পানিটি মাত্র তিন বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। মাত্র তিন বছরের মধ্যে এই কোম্পানি শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে যেমন বিপুল অংকের টাকা খোয়াতে হলো টাটা গ্রুপকে (Tata Group) ঠিক সেই রকমই তাদের মুখ পুড়ল। কোন ব্যবসায় নেমে টাটা গ্রুপকে এইভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল?

Advertisements

২০১৯ সালে ব্যাঙ্গালুরু ভিত্তিক তৈরি হওয়া ওই কোম্পানিটি হল নেস্টঅ্যাওয়ে (NestAway)। এটি একটি স্টার্টআপ কোম্পানি। এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটাও। যে কারণে কোম্পানির লোকসানের সঙ্গে সঙ্গে লোকসান হয়েছে টাটারও। এই কোম্পানিটি বেঙ্গালুরুতে ভাড়ায় ফ্ল্যাট বা বাড়ির পরিষেবা দেয়। এই কোম্পানির ভ্যালুয়েশন ৯৫% কমেছে তিন বছরে।

Advertisements

২০১৯ সালে যে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন ছিল ১৮০০ কোটি টাকা তার বর্তমানে ভ্যালুয়েশন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯০ কোটি টাকা। এই টাকাতে কোম্পানিটি অধিকগ্রহণ করেছে অরাম প্রোপটেক (Aurum Proptech)। মাত্র তিন বছরের মধ্যে এই কোম্পানির গ্রাফ এইভাবে নেমে যাবে তা হয়তো কেউ ভেবে উঠতে পারেননি। এই কোম্পানির গ্রাফ এইভাবে নেমে যাওয়ার পিছনে কি কারণ রয়েছে?

কোম্পানিটির গ্রাফ এইভাবে নেমে যাওয়ার কারণ হিসাবে যা জানা যাচ্ছে তা হল করোনা অতিমারি। কোম্পানির গ্রাফ নেমে যাওয়ার পর তা অধিগ্রহণ করা সংস্থা অরাম প্রোপটেক গত বছর আরও একটি কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছিল। সেটি হল হ্যালো ওয়ার্ল্ড। নেস্টঅ্যাওয়ে কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০১৫ সালে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অমরেন্দ্র সাহু, দীপক ধর, স্মৃতি পারিদা। এরপর ২০১৯ সালে শেষবার বিনিয়োগ হয় এই কোম্পানিতে। যে সময় এর মূল্য ছিল ২২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১,৮৫৪ কোটি টাকা। মূলত কোভিড চলাকালীন অধিকাংশ কর্মী ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেন। সেই কারণেই এই কোম্পানির এমন অবস্থা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। আবার জানা যাচ্ছে, করোনার আগে এই সংস্থার ওয়েবসাইটে ৫০ হাজারের বেশি প্রপার্টি ছিল এবং প্রতিবছর ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় হতো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই প্রপার্টি মাত্র ১৮ হাজারে নেমে আসে আর বার্ষিক রোজগার দাঁড়াই মাত্র ৩০ কোটি টাকা। এই কোম্পানিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডিং হিসেবে যে সংস্থার নাম উঠে আসে সেটি হল UC-RNT এবং Tiger Global। এর মধ্যে UC-RNT রতন টাটার RNT অ্যাসোসিয়েট এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ।

Advertisements