Ratan Tata is the only Indian to have this achievement: বিখ্যাত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে টাটা ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার রতন টাটা (Ratan Tata) হলেন অন্যতম। ভারতীয় ব্যবসা ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য কম বেশি প্রতিটি ভারতীয় মানুষরাই জানেন। রতন টাটার জীবনী মুগ্ধ করে আমাদের, জীবনে চলার পথে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। শুধু ভারতীয়দের কাছেই নয়, সারা বিশ্বের মানুষদের কাছেই এক অনুপ্রেরণার স্বরূপ হলেন রতন টাটা।
টাটা সংস্থার সমস্ত দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করার পর তার হাত ধরে টাটা ইন্ডাস্ট্রি উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে। মাত্র ২১ বছর বয়সে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন রতন টাটা (Ratan Tata)। এরপর টাটার সংস্থাকে আর ব্যবসা ক্ষেত্রে কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নুন থেকে শুরু করে টাইটান, এয়ার ইন্ডিয়া, তাজ, মোটর ইত্যাদি সমস্ত কিছুতেই জড়িয়ে আছে টাটা গ্রুপের নাম। তিনি বুদ্ধি এবং তার সঙ্গে যে ভাবে ব্যবসা ক্ষেত্রেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং পাশাপাশি এত বড় মাপের মানুষ হয়েও সাধারণ জীবন যাপন করেছেন, তা আধুনিক প্রজন্মের কাছে শিক্ষনীয় বিষয়।
২০০০ সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে রতন টাটা পেয়েছেন পদ্মভূষণ সম্মান এবং ২০০৮ সালে তিনি পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ। বর্তমানে তার বয়স ৮৬। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোম্পানির ভালো মন্দের বিচার বিবেচনা করে তিনি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন টাটা ইন্ডাস্ট্রিকে। মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অ্যাকটিভ থাকেন রতন টাটা। ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে মাঝে মাঝেই জীবনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করেন তিনি।
তার বিভিন্ন জনহিতকর কার্যাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো মধ্যবিত্ত মানুষদের নিজের গাড়ির স্বপ্নকে পূরণ করতে ২০০৯ সালে তিনি মাত্র ১ লক্ষ টাকার বাজেটে ন্যানো গাড়ি চালু করেছিলেন। বাজেট ফ্রেন্ডলি এই গাড়িটি সে সময় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। শুধু ন্যানো গাড়ি নয়, বিলাসবহুল জাগুয়ার, রেঞ্জ রোভার সহ আরো প্রচুর গাড়ি প্রস্তুত করে থাকে তার সংস্থা। তার পরিচালিত টাটা গোষ্ঠী বর্তমানে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, শিল্প ইত্যাদি আরও বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।
এত কিছুর মাঝে অনেকেই হয়তো জানেন না তাই একমাত্র ভারতীয় যার একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি রয়েছে। আর কোনো ভারতীয় যে কাজ করতে পারেনি তা করেছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি F-16 ফাইটার জেট উড়িয়েছেন। বেঙ্গালুরু এয়ার শো-তে ২০০৭ সালে তিনি কো পাইলট হিসেবে এই যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছিলেন। এখন তার এই সংস্থা আইবেসের সঙ্গে যৌথ ভাবে হেলিকপ্টার নির্মাণ করছে।