নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে যে সমস্ত চারচাকা গাড়ি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি টাটা ন্যানো। এই গাড়িটি অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ হিসাবে এর কোন মডেল অথবা ফিচার যুক্ত নয়। কিন্তু এই গাড়িটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল কেবলমাত্র এর দামের জন্য। এই চারচাকা গাড়ির দাম এতটাই কম ছিল যে একে ‘একলাখী গাড়ি’ বলা হয়ে থাকতো।
টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরি হওয়া নিয়েও অনেক জল ঘোলা হয়েছে। এমনকি এই গাড়ি কারখানা ও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকার পর্যন্ত বদলে গিয়েছে। যদিও এই টাটা ন্যানো গাড়ি আর পাওয়া যায় না বা তৈরি করা হয় না। কিন্তু আগামী দিনে টাটা ন্যানো গাড়ির ইলেকট্রিক ভার্সন আসছে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
অন্যদিকে টাটার তরফ থেকে কেন এই টাটা ন্যানো গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল, ১৪ বছর পর তার কারণ জানালেন খোদ রতন টাটা। রতন টাটা তার নিজস্ব ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি টাটা ন্যানো গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুহূর্ত দেখে স্পষ্ট, এই ছবি এই গাড়ি লঞ্চের সময় কার।
টাটা ন্যানো গাড়ি বাজারে আনার কারণ জানাতে গিয়ে রতন টাটা ওই ইনস্টা পোষ্টে লিখেছেন, টাটা ন্যানো নিয়ে আসা হয়েছিল সবার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, “ভারতীয় পরিবারদের আমি একটা স্কুটারেই যাতায়াত করতে দেখতাম, পিচ্ছিল রাস্তায় স্কুটারে মা-বারা মধ্যে স্যান্ডউইচড হতে দেখতাম বাচ্চাদের।” আর এখান থেকেই তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য টাটা ন্যানো গাড়ি আনার আইডিয়া আসে বলে জানান রতন টাটা।
যদিও প্রথমদিকে চারচাকা গাড়ি আনার পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল সুরক্ষিত স্কুটার বাজারে আনার। এরপর সেই পরিকল্পনা চারচাকা গাড়ির দিকে চলে যায় এবং এমন এক ধরনের চারচাকা গাড়ি আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় যা স্কুটারের থেকে সামান্য বেশি দামে পেতে পারেন নাগরিকরা। সেখান থেকেই এই টাটা ন্যানো গাড়ি। যে গাড়িতে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে চেপে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন অনায়াসে।
এই গাড়িটি আনার আগে একটি ডুডল তৈরি করেছিলেন রতন টাটা এবং তার টিম। যাতে একটি চারচাকা গাড়ি আঁকা হয়েছিল কিন্তু তাতে কোন দরজা-জানলা ছিল না। সামান্য কিছু বহন করার জন্য কেবিন রাখা হয়েছিল তাতে। কিন্তু পরে রতন টাটা সিদ্ধান্ত নেন ফোর হুইলার আনার। এমনই দাবি করেছেন এই পোস্টে।