Ratan Tata: মৃত্যুর পরেও নজির স্থাপন করলেন রতন টাটা, সকলের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Ratan Tata : ভারতের অন্যতম শিল্পপতি রতন টাটা চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পরলোক গমন করেছেন। ৮৬ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিজের কর্মের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন গোটা বিশ্বের কাছে। মৃত্যুর আগে তিনি এমন কিছু কাজ করে গেছেন যা সত্যিই নিদর্শন স্থাপন করেছে। বহু মানুষের কাছে রতন টাটা একজন অনুপ্রেরণা।

Advertisements

পোষ্যের প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রায় প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের পাতায়। কিন্তু তিনি এমন কাজ করে গেছেন যা চমকে দিয়েছে গোটা পৃথিবীকে। সম্প্রতি সূত্র মারফত জানা গেছে যে, শেষ জীবনে তিনি(Ratan Tata) তাঁর উইলে তাঁর প্রিয় পোষ্য ‘টিটো’-র জন্য তিনি সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। শুধুমাত্র নিজের পোষ্যদের নয় রাস্তার কুকুরদের জন্য তিনি অনেক কাজ করে গেছেন। টাটা গ্রুপের সদর দফতর ‘বম্বে হাউস’-এ কুকুরদের জন্য একটি পৃথক ক্রেশ খুলেছিলেন তিনি। তাঁর শেষ যাত্রাতেও সর্বদাই পাশে দেখা গেছে টিটো-কে।

Advertisements

আরো পড়ুন: রতন টাটার উইলে আছেন রাজন শাউ, কিন্তু কি তার পরিচয়

মৃত্যুর পর যখন রতন টাটার (Ratan Tata) উইল সামনে এসেছে দেখা গেছে তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি, ভাই-বোনদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে গেছেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। অবাক করার কথা হলো, বাড়ির পরিচারকদেরও নিজের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেননি তিনি। তাঁর বাকি সম্পত্তি অবশ্য ট্রাস্টে দান করে গিয়েছেন। রতন টাটার উইল অনুসারে, টিটো-র কোনওদিন কোনও অভাব হবে না। যতদিন পর্যন্ত ‘টিটো’ বেঁচে থাকবে ততদিন তার পরিচর্যার জন্য যথেষ্ট টাকার ব্যবস্থা করে গিয়েছেন রতন টাটা।

Advertisements

আরো পড়ুন: সহানুভূতি-উদারতার অন্যতম উদাহরণ ছিলেন রতন টাটা, জেনে নিন তার সম্পর্কে কিছু কথা

ভারতে এই প্রবণতা অতটা দেখা যায় না কিন্তু বিদেশে নিজের পোষা প্রাণীর জন্য উইলে ভাগ দেওয়ার প্রবণতা খুব প্রচলিত। তিনি সকলের সামনে এক নজির স্থাপন করেছে। তিনি যে সমস্ত কাজ করে গেছেন তার জন্য সারাজীবন দেশের সকলে তাকে অনুপ্রেরণা হিসাবেই মনে রাখবে। দেশের আইনজীবীরা অনেকেই টাটা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর (Ratan Tata) এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ সাধারণ মানুষদেরও পোষা প্রাণীদের প্রতি যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে।

এক লিগ্যাল অ্যাডভাইজরি ফার্ম বলছে, এই ধরনের কোন আইন আছে কিনা তার সম্প্রতি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা বেশিরভাগই অবিবাহিত এবং বয়স্ক। তাঁরাও চান তাঁরা চলে যাওয়ার পর যেন তাঁদের পোষ্যরা যত্নে থাকে।কিন্তু ভারতীয় আইন অনুযায়ী, পোষ্যরা কখনও সম্পত্তি বা পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারে না। উইলে সরাসরিভাবে তাদের নামে কোন সম্পত্তি রাখার নিয়ম ভারতীয় আইনে নেই। রতন টাটার ক্ষেত্রে উইলে টিটো-র কথা বলা হলেও, টিটোর নামে কোনো সম্পত্তি নেই। তাকে যে দেখাশোনা করবে সেই সম্পত্তির দায়িত্ব নেবে।

Advertisements