নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর দেশজুড়ে যেভাবে গরমের দাপট দেখা গিয়েছে তা সাধারণত অন্যান্য বছর দেখা যায়নি। আর এই গরম থেকে বাঁচতে এখন দেশের অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে নিয়ে আসছেন বাতানুকূল যন্ত্র (AC)। দেশের সব প্রান্তের ব্যবসায়ীরাই এই বছর এসি বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা লাভ করেছেন। আর এসবের মধ্যেই এসি বিক্রি (Tata AC Sell) করে রতন টাটার আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।
রতন টাটা একদিকে যেমন স্বপ্ন দেখতেন দেশের মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে চার চাকা গাড়ি, ঠিক সেই রকমই তার স্বপ্ন সস্তায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া এসি। পরিসংখ্যান বলছে টাটাদের ভোল্টাস এসি এখন দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এসি। এই এসি এত পরিমাণে বিক্রি হওয়ার পিছনে একদিকে যেমন রয়েছে টাটাদের উপর ভরসা, ঠিক সেই রকমই রয়েছে নানান ধরনের ফিচার এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা।
গত কয়েক মাসে টাটা গোষ্ঠীর ভোল্টাস এসে এতটাই বিক্রি হয়েছে যা দেশের সবচেয়ে বেশি এসি বিক্রির তালিকায় চলে এসেছে। সংখ্যাটা শুনলে আপনি থ হয়ে যাবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। গত কয়েক মাসে টাটারা প্রতি ঘন্টায় ৩৭৯ টি এসি বিক্রি করেছে। তাদের এই এসি বিক্রির সংখ্যায় অন্য কোন সংস্থা ধারে কাছে আসতে পারেনি। আর এই বিপুল সংখ্যক এসি বিক্রির নিরিখে রতন টাটার সংস্থা গত কয়েক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।
আরও পড়ুন ? Tata Voltas AC: মাত্র ১০ হাজারেই বাড়ি আনুন TATA-র AC! একগাদা ফিচার, বিল আসবে নামমাত্র
দেশের সবচেয়ে বেশি এসি বিক্রির তালিকায় উঠে আসা টাটা গোষ্ঠীর ভোল্টাস ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২০ লক্ষ এসি বিক্রি করেছে। আবার জানুয়ারি মাস থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১১০ দিনের মধ্যে তারা যে সংখ্যক এসি বিক্রি করেছেন তা রীতিমত নজির বিহীন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে যেখানে ২০ লক্ষ এসি বিক্রি করেছে রতন টাটার সংস্থা, সেই জায়গায় ১ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১১০ দিনেই ১০ লক্ষ এসি বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে তারা।
মাত্র ১১০ দিনে ১০ লক্ষ এসি বিক্রি কোন সংস্থা যেমন করতে পারেনি ঠিক সেই রকমই তাদের এই এসি বিক্রির মাইলেজ দেখলে দেখা যাবে ঘন্টায় ৩৭৯ টি এসি বিক্রি হয়েছে। আর এই ৪ মাসেই রতন টাটার সংস্থার ঝুলিতে এসেছে ১৭২২০.৯ কোটি টাকা। বিপুলসংখ্যক এসি বিক্রি করার সঙ্গে সঙ্গে ভোল্টাসের শেয়ারও এখন উর্ধ্বমুখী। গত বছরের তুলনায় তাদের শেয়ার এই বছর ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।