১০ হাতের কালি, গায়ের রঙও আলাদা, পূজিত হলেন স্বপ্নাদেশে মাঘের অমাবস্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঘ মাসের অমাবস্যায় বিভিন্ন জায়গায় রটন্তী কালীপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ধুমধাম করেই রটন্তী কালীপুজোর আয়োজন হয় বিভিন্ন জায়গায়। তবে এরই মধ্যে অন্য এক কালীপুজো দেখা গেল বীরভূমে। যে কালীপুজোয় মায়ের মূর্তি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই আলাদা।

একেবারে আলাদা ধরনের এমন কালীপুজোর আয়োজন করা হয় মাঘ মাসের অমাবস্যাই সদাইপুর থানার অন্তর্গত দে চাঁদরা গ্রামে। এই কালী পুজোয় মায়ের মূর্তিতে দেখা যায় ১০ হাত, একেবারে দেবী দুর্গার মতো রন সাজে সজ্জিতা। পাশাপাশি মায়ের গায়ের রংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ভিন্নতা। যেখানে মা কালী কালো আর শ্যামা কালী শ্যাম বর্ণের হয়ে থাকেন সেই জায়গায় এই মূর্তির গায়ের রং ছিল না কালো না ধূসর। মূলত স্বপ্নাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এমন প্রতিমা তৈরি করে পুজো করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে।

পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, দে চাঁদরা গ্রাম এবং তিলে ডাঙ্গাল গ্রামের মাঝে পরিত্যক্ত একটি জায়গা রয়েছে। ঝোঁপঝাড়ে পরিপূর্ণ পরিত্যক্ত ওই জায়গা গ্রামের ৩-৪ জন ভাগিদার। তবে মানুষের বিশ্বাস এখানে যে কাঁদর রয়েছে তার পাড়ে মা কালী বিরাজ করেন কয়েকশো বছর ধরে। যে কারণে তারা কেউ ওই জমিতে হাত দেন না। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস সেখানে কোন গুপ্তধন রয়েছে।

এরই মধ্যে দে চাঁদরা গ্রামের গিরি অঙ্কুর নামে এক যুবক গতবছর স্বপ্নাদেশ পান এবং মাঘ মাসের অমাবস্যায় পুজো করার নির্দেশ পান। তারপর এক বছর অপেক্ষা করে এই বছর প্রথম সেখানে এমন ভিন্ন ধরনের কালী প্রতিমা তৈরি করে পুজো করা হলো। স্বপ্নাদেশে যে রকম মূর্তি দেখা গিয়েছিল সেই রকমই ১০ হাতের কালি এবং সেই রকম গায়ের রং করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

এই মূর্তিটি তৈরি করা হয় কাঁদরের পাড়ে এবং তারপর তা কাঁধে করে শনিবার নিয়ে আসা হয় দে চাঁদরা গ্রামে। সেখানেই শনিবার রাতে মায়ের পুজো করা হয়। শনিবার পুজোর পর রবিবার গ্রামে মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।