নিজস্ব প্রতিবেদন : চাষিরা অর্থাৎ অন্নদাতারা (Farmers) প্রতিনিয়ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাচ্ছেন। সেই সকল ফসলই আমাদের পেট ভরাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে দেশের দশের অন্ন সংস্থান করছেন তারা অধিকাংশ সময়ই সমান মর্যাদা পান না। তাদের অভিযোগ, এত কষ্ট করে ফসলফলিও তারা সেই সকল ফসলের সঠিক দাম পান না।
ফসলের সঠিক দাম না পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে অন্নদাতাদের এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে। তবে এবার এই সকল চাষীদের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চাষীদের ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। নবান্নের এই সিদ্ধান্ত চাষীদের কাছে ডবল আনন্দ।
ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য এবং চাষীদের ধান বিক্রির উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করার বিষয়ে নবান্নের তরফ থেকে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জারি করা সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য প্রতি ১৬৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে এবং চাষীদের ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমা করা হয়েছে দ্বিগুণ। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের চাষীরা অনেক উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা। এখন তা কুইন্টাল প্রতি ১৬৩ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দাঁড়িয়েছে কুইন্টাল প্রতি ২২০৩ টাকা। অন্যদিকে এক একজন চাষী আগে সরকারি মূল্যে ৪৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু এখন এর পরিমাণ দ্বিগুণ করে দেওয়ার ফলে চাষিরা ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন।
নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, কুইন্টাল প্রতি ধানের দাম মূলত ২১৮৩ টাকা দেওয়া হবে এবং যে সকল চাষিরা খাদ্য দপ্তরের স্থায়ী ক্যাম্পে অথবা মোবাইল ক্যাম্পে এসে ধান বিক্রি করবেন তাদের কুইন্টাল প্রতি ২০ টাকা করে বাড়তি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যে ৫০০টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও ধান উৎপাদনকারী যে সকল ব্লক রয়েছে সেই সকল ব্লকগুলিতে এক হাজারের বেশি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি রয়েছে ধান কেনার জন্য মোবাইল ক্যাম্প।