নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন কার্ড, যা এখন বর্তমানে ডিজিটাল রেশন কার্ডে পরিণত হয়েছে। এই ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে আমরা রেশন দোকান থেকে কার্ডের ভাগ অনুযায়ী বিনামূল্যে অথবা ভর্তুকিতে খাদ্য সামগ্রী তুলতে পারি। ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাহাত্ম্য সবথেকে বেশি ভালো হবে টের পাওয়া যায় দেশে যখন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে লকডাউন জারি হতেই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড উপভোক্তাদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রকল্প শুরু করে। আর এই প্রকল্পে দেশের অন্ততপক্ষে ৮০ কোটি মানুষ উপকৃত হন।
পাশাপাশি বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের ২৪ টি রাজ্যের সম্মতি নিয়ে এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা যোজনা শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে এই এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা যে সকল রাজ্যগুলি রয়েছে সেই সকল রাজ্যের বাসিন্দারা এই সকল রাজ্যের যেকোন প্রান্ত থেকে নিজেদের অধিকারের খাদ্য সামগ্রী তুলতে পারবেন। আর এই ব্যবস্থায় সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন কর্মসূত্রে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বসবাসকারী অথবা রাজ্যের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বসবাসকারীরা। উপকৃত হবেন দেশের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, যাদের হাহাকার আমরা শুনতে পেয়েছিলাম দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন। তবে এসব ছাড়াও অর্থাৎ রেশনে কেবলমাত্র বিনামূল্যে অথবা ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য সামগ্রী তোলা ছাড়াও রেশন কার্ডের ব্যবহার রয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে।
রেশন কার্ড দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে রেশন কার্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও রেশন কার্ডের ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ঘোষণায় জানিয়েছেন, রেশন কার্ড পরিচয় পত্র হিসাবে ব্যবহৃত হবে পশ্চিমবঙ্গে। যে কারণে রাজ্যের বাসিন্দাদের তিনি জানিয়েছেন সকলকেই রেশন কার্ড তৈরি করে নেওয়ার জন্য। সে রেশন কার্ড ভর্তুকিযুক্ত রেশন কার্ড হতে পারে অথবা ভর্তুকিহীন রেশন কার্ডও হতে পারে।
রেশন কার্ড তৈরি করার পদ্ধতি
রেশন কার্ড তৈরি করতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিকে তার রাজ্যের যেকোনো রেশন বিভাগের অফিসে যেতে হবে। রেশন বিভাগের অফিসে না গিয়ে অনলাইনেও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
অফিসে গিয়ে রেশন কার্ড করার জন্য আবেদনকারীকে ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক, পরিবারের সদস্যদের ছবি, আধার কার্ড, পরিবারের সদস্যদের আধার কার্ড, ঠিকানার প্রমাণ পত্র জমা দেওয়াসহ একটি আবেদনপত্র ফিলাপ করতে হবে। রেশন বিভাগের আধিকারিকরা সেই সমস্ত নথি যাচাই করার পর ওই আবেদনকারীকে তার অধিকারের রেশন কার্ড সরবরাহ করবেন।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে তার রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এখানে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দ্বারা সমস্ত কিছুই যাচাই হয়ে যাওয়ার পর আবেদনকারী পেয়ে যাবেন রেশন কার্ড।