নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration) ব্যবস্থা হল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে কম খরচে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে থাকে কেন্দ্র। এখন আবার এই রেশন ব্যবস্থাতেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। তবে নতুন বছরের শুরুতেই রেশনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে টানাটানিতে পড়তে পারেন উপভোক্তারা। এই টানাটানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে রেশন ডিলারদের একটি সিদ্ধান্ত।
রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের স্বল্প মূল্যে অথবা বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত থাকলেও হামেশাই রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। সেই সকল অভিযোগের মধ্যে রয়েছে খাদ্য সামগ্রীতে কারচুপি। উপভোক্তাদের বারবার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইরিশ স্ক্যানার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
কারচুপি ঠেকানোর জন্য আগেই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করা হলেও বেশ কিছু সমস্যা থাকার কারণে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। তবে এইসব বন্দোবস্তের মাঝেই এবার অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ফেডারেশন দাবি তুলেছে, খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে এফসিআই থেকে চটের বস্তায় খাদ্যশস্য দিতে হবে। দার্জিলিংয়ের মত অন্যান্য জেলাতেও রেশন ডিলারদের বর্ধিত কমিশন দিতে হবে।
আরও পড়ুন ? আর মিলবে না ফ্রিতে রেশন! কপাল পুড়তে চলেছে এইসব উপভোক্তাদের! জানিয়ে দিল সরকার
এছাড়াও আরও একাধিক দাবি-দাওয়া রয়েছে এবং সেই সকল দাবি দেওয়ার মধ্যে অন্যতম আরও একটি হলো, এনএফএসএ-এর নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম কমিশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এইসব দাবি-দাওয়া মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন ডিলারদের তরফ থেকে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রেশন ডিলারদের তরফ থেকে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটে (Ration Dealers’ Strike) সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই ধর্মঘট চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এই ধর্মঘটের ফলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাশাপাশি গোটা দেশে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন দোকান বন্ধ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হুঁশিয়ারির ফলে দেশের ৮১ কোটি মানুষের রেশনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে টানাটানি হতে পারে বলে বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।